বিনা টাকায় অনলাইনে ব্যবসা? বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায়?

বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় সেই মাধ্যমগুলোই আজকে আপনাদের সাথে আমি আলোচনা করবো। টাকা ইনভেস্ট এর মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন ব্যবসা করা যায় কিন্তু বিনা পুঁজিতে বা বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় সেটা অনেকেই জানেন না। আপনারা যারা বিনা পুঁজিতে বা বিনা টাকায় অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের জন্যই মূলত এই আর্টিকেল।
অনলাইন ব্যবসা কি? বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায়? জানবো আমরা। janbo amra
অনলাইন ব্যবসা কি। বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায়।

সূচিপত্রঃ বিনা টাকায় অনলাইনে ব্যবসা? বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায়?

ভূমিকাঃ
ইন্টারনেটে ঘন্টার পর ঘন্টা সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যয় না করে আপনি চাইলেই বাড়তি কিছু আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন শুধু আপনার ইচ্ছা শক্তি। খুব বেশি কিছু জানা লাগবে এর জন্য তেমনটাও না। 

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেবল ইন্টারনেট সংযোগ খরচ ছাড়া করতে হয় না বাড়তি কোন টাকা। অনলাইনে টাকা উপার্জন করা যায় এমন কয়েকটি কাজ নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো পুরোপুরি অনলাইন নির্ভর। এদের কোন অফিস নেই। সব কাজ অনলাইন এর মাধ্যমেই করা হয়। 

এ অনলাইন নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন কাজ যেমন ক্রেতাদের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে তথ্য দেয়া, ফোনকল রিসিভ করা, অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক করা ও ইমেইল লেখার জন্য দরকার হয় ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের। প্রাথমিকভাবে দুই একজন ক্লায়েন্টকে দিয়ে কাজটা শুরু করে পরবর্তীতে হাত পেকে গেলে একাধিক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করা সম্ভব।

বিজনেস কোচ

আপনি কোন একটি বিশেষ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হলে সেই অভিজ্ঞতাটাকে ব্যবহার করতে পারেন উপার্জনের পথ হিসেবে। অনলাইনে বিশ্বের নানান দেশের মানুষজনকে শেখাতে পারেন আপনি যা জানেন। অনলাইনে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল তৈরি করেও চাইলে উপার্জন করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট ক্রিয়েটর

ভার্চুয়াল জগতে বর্তমানে কনটেন্ট দিয়ে মার্কেটিং করার ব্যাপারটা খুবই জনপ্রিয়। সবাই নিজেদের পণ্যটা জনপ্রিয় হোক তা চাই। আপনি যদি একজন ভালো লেখক হন তাহলে চাইলেই বিভিন্ন পণ্য নিয়ে লেখালেখি করে উপার্জনের একটি পথ করতে পারেন।

ইবে স্টোর মালিক

অনলাইনে কেনাকাটার ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে ইবে খুবই জনপ্রিয়। ভাবছেন সেখান থেকে কেমন করে আয় করা সম্ভব! আসলেই একটু খোঁজ খবর করলেই আপনিও ইবে স্টোর মালিক বনে যেতে পারেন। এটা হবে সম্পূর্ণই ভার্চুয়ালি। আপনাকে মনে রাখতে হবে, প্রায়ই বিভিন্ন পণ্য বিশাল ছাড়ে বিক্রি করে ইবে।

মূল বুদ্ধিটা হলো, কম দামে পণ্য কিনে পরবর্তীতে বেশি দামে বিক্রি করা। এজন্যে খুব বেশি ঝামেলা পোহাতে হবে যে তা নয়। সব সময় ইবে-তে নজর রাখতে হবে আর যে কোন প্রকার মূল্যহ্রাস আসলেই পূণ্যটি কিনে ফেলতে হবে। পরবর্তীতে মূল্যহ্রাস শেষ হয়ে গেলে জিনিসটার স্বাভাবিক যে দাম তাতেই তা বিক্রি করে দিতে পারবেন।

টি-শার্টের অনলাইন স্টোর

বর্তমানে টি-শার্টের ব্যবসা করাটা খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে। আর অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারলে তো কথাই নেই! একটা সময় ছিল যখন বিশাল পরিমাণে অর্ডার না করলে কোন প্রতিষ্ঠান টি-শার্ট তৈরি করে দিত না।

কিন্তু বর্তমানে অল্প খরচে কম পরিমাণে টি-শার্ট তৈরি করানো সম্ভব। ফেসবুকে একটি পেজ খুলে বিভিন্ন ডিজাইনের ভালো মানের টি-শার্ট বিক্রি শুরু করলে সহজেই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা সম্ভব।

অনলাইন কনসালটেন্ট

কনসালটেন্সি বা পরামর্শক হিসেবেও অনলাইনে একটি ভালো পেশা গড়া সম্ভব। তার আগে আপনাকে অবশ্যই কোন একটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না হলেও সেই বিষয় সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। একজন পরামর্শদাতা সবসময়ই জানে যে সে কি নিয়ে কথা বলছে।

অনলাইনে এবং অনলাইনের বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রায়ই বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনলাইনে জনপ্রিয় পরামর্শদাতাদের শরণাপন্ন হয়।

অ্যাফিলিয়েট  মার্কেটার

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজটি এই তালিকায় থাকা অন্য কাজগুলোর চেয়ে একটি বেশি খরচসাপেক্ষ। কারণ, এক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন পণ্য ও সেবা গ্রহণ করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে মূলত যা হয় তা হলো আপনি অনলাইনে একটি সেবা গ্রহণ করেন এবং তা আপনার পরিচিতজনদের কাছে প্রমোট করেন।

আপনি যাদের কাছে প্রমোট করেছেন তারা যদি আপনার কথায় সন্তুষ্ট হয়ে সেবাটি গ্রহণ করে তবে সেই প্রতিষ্ঠান লাভ থেকে একটা অংশ আপনাকে প্রদান করে।

সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যদি আপনার অনেক ফলোয়ার থাকে তাহলে সেটাও আপনার সামনে উপার্জনের একটি পথ খুলে দিতে পারে। আর এক্ষেত্রে উপার্জনের পরিমাণটাও বেশ বড়! অবাক হচ্ছেন? অবাক করা হলেও এটি আসলেই সম্ভব। 

আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে এটি পণ্য প্রোমোট করে প্রতিদিন কয়েক শত এমনকি হাজার ডলার করেও উপার্জন করা সম্ভব!তবে এক্ষেত্রে বেশ বড়সড় পরিমাণে ফলোয়ারের পাশাপাশি আপনাকে এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার ফলোয়াররা আপনি যা বলেন তা গুরুত্ব সহকারে নেয়।

ভিডিও ব্ল-গিং 

আপনি যদি অবসরে ইউটিউবে পড়ে থাকেন তাহলে ভি-ব-গ শব্দটির সাথে আপনার পরিচিত থাকার কথা। ভিডিও বক হলো প্রতিদিনের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাকে ভিডিও করে অনলাইনে পোস্ট করা।

বর্তমানে ভিডিও ব্লগিং এর মূল কনসেপ্টটা বিপুল মাত্রায় জনপ্রিয় এবং ইউটিউবে ভিডিও ব্লগ আপলোড করে বেশ ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছেন অসংখ্য ইউটিউবার।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার / ওয়েব ডেভেলপার

অনলাইনে কেউ কোন কিছু করতে গেলে শুরুতেই তাদের যা দরকার হয় তা হলো একটি ওয়েবসাইট ও নিজেদের একটি লোগো। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং বা ওয়েবসাইট ডেভেলপিং-এ অভিজ্ঞ হলে ইন্টারনেটের জগতে আপনার কাজের অভাব হবে না।

এই তালিকায় থাকা অন্য কাজগুলোর চেয়ে সবচেয়ে বেশি সহজলভ্য কাজ এই দুটিই। না পারলেও সমস্যা নেই। বর্তমানে দেশে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান কোর্স করায় গ্রাফিক্স ডিজাইনিং বা ওয়েবসাইট ডেভেলপিংয়ের ওপর।

ইচ্ছা শক্তি থাকলে আর সেই ইচ্ছাশক্তিটির প্রয়োগ ঘটাতে পারলে কয়েক মাসের মধ্যেই আপনিও একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভেলপারে পরিণত হতে পারবেন! আর বাড়তি সাহায্য হিসেবে ইউটিউবে রয়েছে এসবের ওপর অসংখ্য টিউটোরিয়াল।

ড্রপ শিপিং ব্যবসা

বিনা পুঁজিতে বা বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় এরমধ্যে অন্যতম একটি ড্রপশিপিং ব্যবসা। এই ব্যবসাতে আপনার এক টাকাও ইনভেস্ট করতে হবে না। প্রথমত আপনার একটি অনলাইন ওয়েব স্টোর প্রয়োজন। আপনার ওয়েবস্টোর এর মাধ্যমে অন্য কোম্পানির পণ্য কাস্টমারের সামনে প্রদর্শন করবেন।

যখন কোন কাস্টমার একটি পণ্যের অর্ডার করবে তখন সে অর্ডারটি আপনি ওই কোম্পানির কাছে পৌঁছে দেবেন। এরপর ওই কোম্পানি কাস্টমারের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। যেমন ধরুন ওই কোম্পানির ৮০০ টাকা দামের কোন একটি পণ্য আপনার ওয়েবস্টোরে রেখেছেন। এখন পণ্যটি কাস্টমারের কাছে ১০০০ টাকায় বিক্রি করলেন।

তাহলে আপনি ৮০০ টাকা কোম্পানিকে দিলেন আর ২০০ টাকা আপনার লাভ থাকলো। এভাবে আপনি বিনা পুঁজিতে অনলাইনে ড্রপ শিপিং এর ব্যবসা করতে পারবেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনা

বিনা পুঁজিতে বা বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় সেগুলোর মধ্যে সবথেকে সহজ একটি ব্যবসা হল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনা করা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনা করার জন্য দক্ষ লোকের প্রয়োজন হয়। আপনি শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনা করার বিষয়ে দক্ষ হয়ে নিবেন।

তাহলে আপনার মাসিক ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। এরপর আপনি চাইলে আপনার কাছের কিছু বন্ধুকে নিয়ে একটি এজেন্সি দিয়ে দিতে পারেন। এখন আপনি ঘরে বসেই বিভিন্ন ক্লায়েন্টের প্রতিষ্ঠানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনা করতে পারবেন।

আপনি এবং আপনার টিমের লোকজন যদি সার্ভিস ভালো দেয় তাহলে কাজের বা ক্লায়েন্টের অভাব হবে না। এইভাবে আপনি বিনা টাকায় অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেন।

ঘটক ব্যবসা

ঘটক ব্যবসা কথা শুনেই আপনার একটু অন্যরকম লাগতে পারে। আপনি এটাও ভাবতে পারেন যে আপনার দ্বারা এই ব্যবসা কখনো সম্ভব না। কারণ আপনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাত্র-পাত্রী খুঁজে দেখতে পারবেন না। আপনি যদি এসব ভাবেন তাহলে আপনি আগের যুগেই পড়ে আছেন।

কেননা এসবের জন্য এখন কারো বাড়ি বাড়ি যেতে হয় না সবকিছুই অনলাইনে করা সম্ভব। আপনি এই ব্যবসাটি আপনার যেকোনো একটি ফেসবুক পেজ থেকেই করতে পারবেন। এখানে আপনার এক টাকাও ইনভেস্ট করতে হচ্ছে না শুধু প্রয়োজন একটি ফেসবুক পেজ। আপনি চাইলে এটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও করতে পারবেন।

পাত্র পাত্রীরা তাদের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে আপনার সাইটে এসে রেজিস্ট্রেশন করে রাখবে। আপনার সাইটে সবার তথ্য থাকবে তাই কেউ নির্দিষ্ট পরিমাণে ফি পরিষদের মাধ্যমে কোন পাত্র-পাত্রীর তথ্য দেখতে পারবেন। এছাড়াও বিয়ে ঠিক হওয়ার পরে তারা আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমান ফি দিয়ে থাকবে।

ট্রেনিং সেন্টার 

আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী বা দক্ষ সে বিষয়ে একটি ট্রেনিং সেন্টার করতে পারেন। এর জন্য আপনি আপনার বাসার যেকোন একটি রুমকেই ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে তৈরি করতে পারেন। এই ব্যবসার প্রচার এর জন্য আপনার একটি ফেসবুক পেজ বা ফেসবুক আইডি থাকলেই যথেষ্ট। আপনার ফেসবুক পেজে প্রচারের মাধ্যমে আপনি নিয়মিত গ্রাহক পেয়ে যাবেন।

আপনি যদি ফ্যাশন ডিজাইনে পারদর্শী হন তাহলে আপনি ফ্যাশন ডিজাইনের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। বিনা পুঁজিতে বা বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় তার মধ্যে ট্রেনিং সেন্টারের ব্যবসাটি অন্যতম।

কনটেন্ট রাইটিং এজেন্সি

কনটেন্ট রাইটিং এজেন্সি ব্যবসার জন্য আপনার কোনরকম পুঁজি বা টাকার প্রয়োজন নেই। আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং এজেন্সি ব্যবসা করতে চান তাহলে শুধুমাত্র আপনাকে ভালো করে লেখালেখি করতে হবে। আপনি যদি লেখালেখিতে পারদর্শী হন তাহলে আপনি ঘরে বসেই কনটেন্ট রাইটিং এজেন্সি তৈরি করতে পারেন।

এর জন্য আপনাকে কয়েকটি ভালো কন্টেন্ট রাইটার এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আপনার ক্লাইন্ট এর থেকে যে অর্ডারটি পাবেন সেটি আপনার আন্ডারে থাকা কন্টেন্ট রাইটার দের দিয়ে করিয়ে নিবেন। এর বিনিময়ে তাদের কিছু পারিশ্রমিক দিবেন।

ব্যাস এইভাবেই আপনি অনলাইনে কন্টেন্ট রাইটিং এজেন্সির ব্যবসাটি করতে পারবেন। বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় সেগুলোর মধ্যে কনটেন্ট রাইটিং এজেন্সি ব্যবসাতে কম সময় ব্যায় করেই ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগ বিজনেস

২০২৪ সালে বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় তার মধ্যে ব্লগ বিজনেস অন্যতম। এই ব্যবসায় আপনি ব্লগ কন্টেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করবেন। এই ব্যবসার জন্য আপনাকে প্রথমত ভালো লেখক হতে হবে। কারণ আপনি যদি ভালো না লেখেন তাহলে আপনি ভালো পাঠক পাবেন না।

আপনি যত ভালো লিখবেন তত পাঠকরা আপনার কন্টেন্ট গুলো পড়বে এবং ফলো করবে। এছাড়াও আপনার কন্টেন্টগুলোকে অবশ্যই উন্নত মানের তৈরি করতে হবে যার ফলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার কনটেন্ট গুলোকে রাঙ্কিংয়ে নিয়ে নিয়ে যাবে। এর ফলে আপনি প্রচুর ভিজিটর পাবেন। আপনি যত ভিজিটর পাবেন আপনার পণ্য বা সার্ভিস বিক্রিও হবে বেশি।

ডেটা এন্ট্রি সার্ভিস 


বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সরাসরি কোন কর্মী নিয়োগ না করে কোন ডেটা এন্ট্রি এজেন্সিকে দিয়ে কাজ করি নেয়। বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় তার মধ্যে ডেটা এন্ট্রি সার্ভিস অন্যতম ব্যবসা। এই ব্যবসা বা সার্ভিসটির জন্য আপনাকে এক্সট্রা করে কোন রুম নিতে হবে না বা কোন অফিস এর ও প্রয়োজন নেই।

আপনি এটা নিজ বাসভবনে থেকেই পরিচালনা করতে পারবেন। প্রথমত আপনি নিজেই বিভিন্ন ক্লায়েন্টকে সার্ভিস দিতে পারবে। যখন আপনার ক্লায়েন্টের সংখ্যা বেড়ে যাবে তখন আপনি একা এটি সামাল দিতে পারবেন না। ক্লায়েন্টের সংখ্যা বেড়ে গেলে আপনি কয়েকজন ফ্রিল্যান্সার কে নিয়োগ দিবেন এবং আপনি শুধু দেখাশোনা করবেন।

ক্লায়েন্টের কাজ সঠিকভাবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করে দিতে পারলে আপনার কাজের অভাব হবে না। এইভাবে আপনি ডেটা এন্ট্রি সার্ভিসের মাধ্যমেও বিনা টাকায় অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেন।

ই-বুক বিক্রি

বর্তমান যুগে আমরা অনেকেই অনলাইন থেকে বই ডাউনলোড দিয়ে পড়ে থাকি। কিন্তু আপনি কি ভেবে দেখেছেন এই বইগুলো অনলাইনে আসে কিভাবে। কোন একজন ব্যক্তি এই বইগুলো লিখে সেটি পিডিএফ তৈরি করে সেটি তার ওয়েবসাইটে রেখেছে। এরপর সেই বইগুলোই একটা নির্দিষ্ট দামে বিক্রি করছে।

আপনিও ঠিক একই ভাবেই এই ই-বুক ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। এই ব্যবসাতেও আপনাকে কোন টাকা ইনভেস্ট করতে হচ্ছে না। বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় তার মধ্যে ই-বুক বিক্রি করেও আপনি মোটামুটি ইনকাম করে যেতে পারবেন।

পরিশেষেঃ

বিনা পুঁজিতে বা বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় সেগুলো নিশ্চয় ভালোভাবে পড়েছেন। আপনি এই উপায়গুলোর মধ্যে যেকোন একটি তে মোটামুটি দক্ষতা অর্জন করে শুরু করে দিতে পারেন। আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য্য সহকারে করতে হবে।

আমার লিখা আর্টিকেল টি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানার সুযোগ করে দিন। বিনা পুঁজিতে বা বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় এই সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে লিখবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url