রিসেলিং ব্যবসা কি? অনলাইন রিসেল ব্যবসা শুরু করবেন কীভাবে?

রিসেলিং ব্যবসা কি বা রিসেলার ব্যবসা কি এছাড়াও অনলাইন রিসেল ব্যবসা শুরুর জন্য কি করবো? এইরকম প্রশ্নের উত্তর কি চাচ্ছেন তাহলে এই আর্টিকেলটি ভালো করে পরে নিন। রিসেলিং ব্যবসা বা রিসেল ব্যবসা শুরুর জন্য যাবতীয় তথ্য এখানেই পেয়ে যাবেন। এছাড়াও অনলাইন রিসেল ব্যবসা শুরুর ফলে কি সুবিধা বা অসুবিধা হবে সেটাও জানতে পারবেন।
রিসেলিং ব্যবসা কি। অনলাইন রিসেল ব্যবসা শুরু করবেন কীভাবে। জানবো আমরা। janbo amra
রিসেলিং ব্যবসা কি। অনলাইন রিসেল ব্যবসা শুরু করবেন কীভাবে

সূচিপত্রঃ রিসেলিং ব্যবসা কি? অনলাইন রিসেল ব্যবসা শুরু করবেন কীভাবে?

ভূমিকাঃ
অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করার অন্যতম সহজ উপায় রিসেল ব্যবসা। একজন রিসেলার উৎপাদক ও ক্রেতার মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করেন। অর্থাৎ আপনি উৎপাদকের থেকে পণ্য সংগ্রহ করে ক্রেতার কাছে সেই পণ্য বিক্রি করবেন।আপনাকে কোন পণ্য তৈরি করতে হবে না বা পণ্য মজুত রাখতে হবে না।

আপনার কাজ শুধু উৎপাদকের থেকে পণ্য কিনে তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা। এমনকি আজকের ইন্টারনেটের যুগে ঘরে বসেই এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। তাই অল্প পুঁজিতে এখনি অনলাইন রিসেল ব্যবসা শুরু করে ফেলুন।

অনলাইন রিসেল ব্যবসা শুরু করব কীভাবে

আমরা বেশিরভাগ মানুষই অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে অবগত রয়েছি। কিন্তু অনলাইনে ভিন্ন রকমের বিজনেস হয়ে থাকে। আমার সম্পর্কে কমবেশি সকলেরই কিছুটা ধারণা রয়েছে কিন্তু অনলাইনে আরও একটি ব্যবসা বেশ কিছু বছর থেকে জনপ্রিয়তা লাভ করে আসছে সেটি হল অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা।

আমরা অনেকেই অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা সম্পর্কে জানিনা। কিভাবে করা হয়, লাইনে এই ব্যবসাটি কিভাবে শুরু করব,সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। আপনি যদি একজন অনলাইন রিসেলিং ব্যবসায়ী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম ব্যবসা কি সেটি জানতে হবে।

আর আপনি যদি না জেনে থাকেন রিসেলিং ব্যবসা কি তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি আপনি আপনার অজানা সকল তথ্য এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক রিসেলিং ব্যবসা কি এবং অনলাইন রিসেল ব্যবসা শুরু কিভাবে কর।

রিসেলিং ব্যবসা কি

যদি একজন রিসেল ব্যবসায়ী হতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে রিসেলিং ব্যবসাটা কি সেই সম্পর্কে তথ্য এবং ধারণা লাভ করতে হবে। হুট করে রিসেলিং ব্যবসায়ী হওয়া সম্ভব না। মূলত রিসেলিং ব্যবসাটি হচ্ছে অনলাইনে কোন পণ্য কম টাকায় কিনে অধিক মুনাফা লাভের আশায় সেটিকে পুনরায় বেশি টাকায় বিক্রয় করা।

এতে করে মুনাফা লাভ বেশি হয়। যে ব্যক্তি অনলাইনে রিসেলিং এর ব্যবসা করে তাকে বলা হয় রিসেলার। যেমন ধরেন আপনি একটি পণ্য অনলাইন থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করলেন আবার আপনি ঠিক সেই পণ্যটি অনলাইনে মাধ্যমে ৪০০ টাকা দিয়ে বিক্রয় করলেন।

মূলত এই প্রসেসটিই হল রিসেলিং ব্যবসা। বর্তমানে রিসেলিং ব্যবসাকে বলা হয় কম টাকায় বেশি লাভের ব্যবসা। যারা সচরাচর অনলাইনে পণ্য কেনা বেচা করে থাকেন তাদের একটু হলেও রিসেলিং সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রয়েছে।

আর রিসেলিং ব্যবস্থা সুবিধা হচ্ছে এটির জন্য আপনাকে নিজস্ব উৎপাদনের কোন বস্তু বা মাল ব্যবহার করতে হবে না। আবার নিজস্ব কোন সাপের ও প্রয়োজন নেই। বর্তমান বাজারের একজন মানুষ নিজের আইডেন্টিটি তৈরি করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে আসছেন।

তার মধ্যে রিসেলিং ব্যবসা একটি। এটি করে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই উন্নতি করতে পারেন। এটি আপনার জন্য সফলতার দুয়ার খুলে দিতে পারে। তোর নতুন উদ্যোক্তার জন্য সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে রিসেলিং ব্যবসা।

রিসেলার ব্যবসার ধরন

মূলত রিসেলার ব্যবসাটি আপনি অনলাইন বা অফলাইন উভয় ভাবে করতে পারেন। কিন্তু যেহেতু রিসেলার এটি একটি অনলাইন প্লাটফর্ম আর এখানে বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীরা এবং তরুনেরা কাজ করে সে কারণে এটিকে অনলাইন প্লাটফর্ম হিসেবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।

ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের অবসর সময় কোন ফালতু কাজে না লাগিয়ে অনলাইন রিসেলিং এর মাধ্যমে কিছু টাকা অর্জন করতে পারে। এর জন্য মূলত তারা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম নিজেদের তৈরি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারে। এটি নির্দিষ্ট একটি এখন নেই। যেখানে খুশি সেখানে রিসেলিং এর ব্যবসা করতে পারে।

রিসেলার ব্যবসা এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূলত একজন মার্কেটার থাকেন। যার একটি লিংক এর মাধ্যমে ক্রেতা সেই কোম্পানি থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকেন। আর এখান থেকে মার্কেটনর কিছু কমিশন নেন। কিন্তু রিসেলিং এর ক্ষেত্রে এটি সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে কোন দ্বিতীয় ব্যক্তি থাকে না।

ক্রেতা সরাসরি অন্য ক্রয় করেন এবং যিনি রিসেলার তিনি সরাসরি এটার সাথে কথা বলে পণ্যটি বিক্রয় করেন এবং পেমেন্ট কমন করে থাকেন। পরবর্তীতে তিনি এটি অন্য কোম্পানিতে দিলে তারা সেটি ডেলিভারি করে দেয়।

রিসেলার ব্যবসা কেন করবেন

বর্তমান সময়ে অনলাইনে ব্যবসা করা নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক দ্বিধা কাজ করে। ব্যবসায় সফল হওয়া সম্ভব হবে কিনা, ব্যবসার সফল হওয়ার জন্য সঠিক পথ কোনটি ইত্যাদি নানা ধরনের প্রশ্ন থাকে সাধারণ মানুষের মনে। কোন কিছু শুরু করার পূর্বে এ প্রশ্নগুলো মানুষের মনে থাকা স্বাভাবিক।

কিন্তু মানুষ রিসেলার ব্যবস্থা কেন করবেন সেটি নিয়ে কিছু কথা বলা যাকঃ

১। অল্প বিনিয়োগে বেশি লাভের সুযোগ

অনলাইনে রিসেলার ব্যবসা থেকে অল্প কিছু মূলধন ইনভেস্ট করে বেশি লাভ করা সম্ভব। যেহেতু রিসেলার ব্যবসাটি এইরকম অল্প মূল্যে পন্য ক্রয় করে এটিকে বেশি মূল্যের বিক্রয় করা। যে যত বেশি দামে বিক্রয় করতে পারবে তার তত বেশি লাভ। তাই রিসেলিং ব্যবসার এটি একটি সুবিধা রয়েছে অল্প বিনিয়োগে বেশি লাভ।

২। বিক্রয়ের বিস্তৃত অপশন

আপনি যদি একজন রিসেলার ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এটা চাহিদার উপর ডিপেন্ড করে আপনাকে পণ্য রাখতে হবে। আপনি যেহেতু একজন বিক্রেতা তাহলে অবশ্যই আপনাকে তার ভালো মন্দের দিক ও লক্ষ্য রাখতে হবে।

ধরুন আপনি যদি পোশাক বিক্রয় করে রিসেলার হতে চান তাহলে প্রথম মুনাফা লাভের পর অবশ্যই আপনাকে আরো কিছু জিনিস এড করতে হবে। যেমন ধরুন জুতা, কসমেটিক্স, ডিজাইনার ব্যাগ ইত্যাদি। এতে করে যেমন আপনার শপের প্রচার বাড়বে পাশাপাশি আপনার পণ্য গুলো তাড়াতাড়ি বিক্রি হয়ে যাবে।

৩। ব্যবসা শীঘ্রই শুরুর দারুন সুযোগ

অনলাইনে রিসেলিং ব্যবসা শুরুর জন্য আপনার নির্দিষ্ট কোনদিন বা সময় সুযোগের অপেক্ষা করতে হবে না। আপনার যখন ইচ্ছা তখনই আপনি ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।

৪। নিম্ন আর্থিক ঝুঁকি

একজন রিসেলার হিসেবে আমি যদি পাইকারি পণ্য বিক্রয় করতে চান অথবা হোলসেলে দিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি ড্রপ শিপ ক্রয় করতে হবে।

আপনি রিসেলার ব্যবসার ক্ষেত্রে পন্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে যে সীমাবদ্ধতা গুলো রয়েছে সেগুলো এড়িয়ে চলতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার বাল্ব ইনভেন্টরি যেমন কিনতে হচ্ছে না তেমনই শিপিং এর খরচ হচ্ছে না।

৫। সময়ের পর্যাপ্ততা

রিসেলিং যেহেতু একটি অনলাইন বিজনেস যেহেতু সেখানে পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো অটোমেটিক হয়ে যায়। এবং এখানে আপনাকে প্যাকেজিং এবং ডেলিভারির কোন ঝামেলা না থাকায় অনেক সময় বেঁচে যায়। তাই ছাত্র-ছাত্রীরা এটি খুব সহজেই করতে পারে।

এখন বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি চাকরিজীবীরাও রিসেলিং এর ব্যবসা শুরু করে দিয়েছেন। রিসেলিং ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে সময় খুবই অল্প ব্যয় করতে হয়।

রিসেলিং ব্যবসা কিভাবে করব 

রিসেলিং ব্যবসা করার বিভিন্ন পন্থা রয়েছে। যে ব্যক্তি যে বিষয়ের উপরে পারদর্শী সেই ব্যক্তি সে বিষয় বা টপিক নিয়ে রিসেলিং এর ব্যবসা শুরু করতে পারে। এটি নির্দিষ্ট কোন একটি ব্যবসা না। রিসেলিং ব্যবসা করার পূর্বে কয়েকটি শর্ত বা ধাপ অবলম্বন করা হয়। 

১। ই-কমার্স সম্বন্ধে প্রাথমিক জ্ঞান

রিসেলিং ব্যবসা শুরু করার পূর্বে অবশ্যই ই-কমার্স সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। নতুবা রিসেলিং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। রিসেলার ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যদি আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে সেটি বেশি উপকারী।

কারণ নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে কোনরকম ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় না। এক্ষেত্রে যদি একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অথবা ফেসবুক পেজ থাকে তাহলে সেটি খুবই ভালো।

২। উন্নত মানের ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা অনলাইন শপ তৈরি 

আপনি যদি রিসেলিং ব্যবসার মাধ্যমে নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা হিসেবে তুলে ধরতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি উন্নত মানের ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা অনলাইন শপ তৈরি করতে হবে।

আপনার ওয়েবসাইট অথবা অনলাইন শপটি যত বেশি উন্নত হবে আপনার সামনের পথ আরো মসৃণ হয়ে যাবে। একটি উন্নত মানের ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির জন্য অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু পরিমাণে মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে।

কারণ যেহেতু আপনি একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এতে করে আপনার পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি একজন রিসেলার হিসেবে মানুষের সামনে সুনাম পাবেন। একজন রিসেলার এবং গ্রাহকের মাঝে ই-কমার্স একটি সেতুবন্ধন এর মত।

কারণ একটি পণ্য ক্রয় করার আগে ক্রেতা অবশ্যই চাইবেন সেই অনলাইন শপটির পণ্যগুলো কেমন এবং সেই শপটির ডিমান্ড কেমন কেটে যাচাই-বাছাই করে নিতে। এক্ষেত্রে একজন রিসেলার কে তার সবটির জন্য অবশ্যই একটি ডোমেইন হোস্টিং সিস্টেম চালু করতে হবে।

৩। পণ্যের বাজারদর এবং গ্রাহকের চাহিদা সম্পর্কে জ্ঞান

যখন একজন রিসেলার তার প্রতিষ্ঠানটি দশজনের কাছের তুলে ধরতে চাইবেন তার আগে তাকে অবশ্যই তিনি যে পণ্য নিয়ে কাজ করবেন সেই পণ্যের বাজার দর এবং সেই পণ্যের গ্রাহকের চাহিদা কিরকম সে সম্পর্কে তাকে খুঁটিনাটি সকল তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

এতে করে তিনি গ্রাহকের চাহিদা সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন কিভাবে কাজ করলে আরো উন্নত হবে। গ্রাহককে তার পণ্যের প্রতি আকর্ষিত করার জন্য একজন রিসেলার কে অবশ্যই পণ্যের দামের দিকটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।

৪। বিজ্ঞাপন তৈরি

বিভিন্ন প্রকার পণ্যকে আকর্ষিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়ে থাকে। রিসেলারা এক্ষেত্রে ফেসবুক অথবা instagram কে বেছে নিয়ে থাকেন। কারণ এসব প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেওয়া এবং ব্যক্তিকে আকর্ষিত করা খুবই সোজা হয়ে থাকে। 

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ক্রেতারা কোন ধরনের পণ্যের প্রতি বেশী আগ্রহী সেই ধরনের পণ্য নিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়ে থাকে। এতে করে ক্রেতাদের বুঝতেও সুবিধা হয় কোন পণ্যটি কিরকম মূল্য তারা পাবেন। 

৫। সৃজনশীল কনটেন্ট  তৈরি

একজন রিসেলার হিসেবে অবশ্যই আপনাকে একজন সৃজনশীল বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ হতে হবে।যদি আপনি একজন সৃজনশীল বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অধিক উপকার হবে।

কারণ ক্রেতারা একঘেয়েমি বিজ্ঞাপন কিংবা একঘেয়েমি পণ্য ব্যবহার করতে পছন্দ করেন না। সকলেই চাই কিছু নতুনত্ব।

আপনি যদি সৃজনশীল বুদ্ধির মাধ্যমে আপনার পণ্যটি নতুনভাবে ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরতে পারেন তাহলে আপনার পণ্যের প্রচার, পেশার এবং বিপণন দিন দিন বৃদ্ধি পাবে এতে করে আপনার বেশি উপকার হবে। এক্ষেত্রে আপনি ব্লক কন্টেন্ট অথবা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট গুলো খেয়াল করে দেখতে পারেন।

অনলাইন রিসেলার ব্যবসা আইডিয়া

রিসেলার ব্যবসা আইডিয়া অনেক রকম হয়ে থাকে। আপনি যদি নতুন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তাহলে এই আইডিয়াগুলো আপনার উপকারে আসতে পারে। 

১। পোশাক ব্যবসা

আপনি যদি একজন নতুন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তাহলে পোশাক ব্যবসা আপনার জন্য উপকারী হয়ে থাকবে।আপনি যদি নারী-পুরুষ, শিশু সকলকে নিয়ে একই সাথে কাজ করতে চান তাহলে পোশাক ব্যবসার মতো আর অন্য কোন ব্যবসা নেই।

কি করে খুব সহজেই আপনি ক্রেতাদের মন জিতে নিতে পারবেন পাশাপাশি এখন অনলাইন থেকে মানুষ বেশি পোষাক ক্রয় করে থাকে। কিন্তু আপনি যদি পোশাক নিয়ে ব্যবসা করতে চান আপনি কি ফ্যাশন সম্পর্কে জানতে হবে।

আপনার ভেতর যদি ফ্যাশন সেন্স না থাকে তাহলে আপনি পোশাক নিয়ে ব্যবসা করে উন্নতি করতে পারবেন না। কোন সে জানে কোন রকমের পোশাক মানুষজন পড়তে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

২। স্টেশনারি আইটেম

রিসেলার বিজনেস এর অন্যতম একটি ব্যবসা হল স্টেশনারি আইটেম। যেহেতু এখন অনলাইনের যুগ কেউ তো মানুষ অনলাইন থেকে একটু ভিন্ন ধরনের জিনিস কিনতে পছন্দ করে। আর সচরাচর এইসব লোকাল দোকানে পাওয়া যায় না।

শিশু-কিশোরদের এইসব ষ্টেশনারী আইটেম গুলোর প্রতি বেশি আকর্ষণ। তারা তাদের নিজেদের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের এই ধরনের উপহার দিতে বেশি পছন্দ করে। তাই ছোট ছোট উদ্যোক্তাগুলোর কাছ থেকে রিসেলার রা এইসব ষ্টেশনারী আইটেমগুলো ক্রয় করে চড়া দামে ক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করে।

৩। জুয়েলারি ও কসমেটিক  ব্যবসা

বর্তমান সময়ে এসে রিসেলার জুয়েলারি ব্যবসায়ীর দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ বর্তমানে হ্যান্ডমেড জুয়েলারি গুলোর ডিমান্ড দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও বেশ কিছু জুয়েলারি রয়েছে যেগুলো দেশের বাহিরে থেকে আনা হয়ে থাকে।

দেশের বাইরের জুয়েলারি গুলো কিশোরীদের মন বেশি আকর্ষণ করে থাকে। রিসেলারদের এই জুয়েলারি গুলো বিক্রয় করে অধিক পরিমাণে লাভ হয়। এছাড়া বর্তমান সময়ে মহিলা এবং তরুণ কিশোরীরা বিদেশি কসমেটিকের প্রতি বেশি আকর্ষিত হচ্ছে।

এগুলো স্কিন কেয়ার এবং বিভিন্ন কাজে তারা ব্যবহার করে থাকে। মৌসুম এবং পূজা পার্বণের ওপর ডিপেন্ড করে জুয়েলারি এবং পোশাকগুলো বাড়ি থেকে আনা হয় এবং সেগুলো কাস্টমারদের কাছে চড়া দামে বিক্রয় করা হয়। তাই বলা যেতেই পারে জুয়েলারি ও কসমেটি করে একজন রিসেলার অতি সহজেই উন্নতি লাভ করতে পারে।

বাংলাদেশের রিসেলার ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম

বাংলাদেশের রিসেলার ব্যবসার খুব বেশি প্ল্যাটফর্ম নেই। ইন্ডিয়ার মেসো প্ল্যাটফর্মের কথা নিশ্চয়ই আপনারা জানেন। এই প্লাটফর্মটি অনলাইন রিসেলার এর মাধ্যমে অধিক লাভ করেছে। সেইরকম বাংলাদেশেও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।
  • বিগবাজার 
  • শপঅ্যাপ 
  • রিসেলার অনলি
এইসব সাইডে প্রত্যেকটি প্রোডাক্টের ছবি এবং সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে ডিটেইলস বর্ণনা করা থাকে।এইসব প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রোডাক্টের ছবি নিয়ে নিজস্ব অনলাইন শপিং দেওয়া যায়। যখন আপনি সেই ছবিটি পোস্ট করবেন তখন অবশ্যই নিজে প্রফিটের কথা সেখানে উল্লেখ করে দিবেন।

পরিশেষেঃ রিসেলিং ব্যবসা কি? অনলাইন রিসেল ব্যবসা শুরু করবেন কীভাবে?

আশাকরি আপনারা রিসেলিং ব্যবসা বা অনলাইন রিসেল ব্যবসা শুরু করবেন কীভাবে তা বুঝতে বুঝতে পেরেছেন। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url