ঘরে বসে মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা | অন্য কাজের তুলনায় মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা সহজ কেন?

মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অন্য কাজের তুলনায় মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা সহজ কারণ পণ্য রাখার জায়গা বা সময় কম লাগে। এছাড়াও অনেক বিষয় রয়েছে যার জন্য মেয়েদের অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়া অনেকটায় সোজা। তাহলে চলুন মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করি।
ঘরে বসে মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা। অন্য কাজের তুলনায় মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা সহজ কেন? জানবো আমরা। janbo amra
ঘরে বসে মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা। অন্য কাজের তুলনায় মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা সহজ কেন?

সূচিপত্রঃ ঘরে বসে মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা | অন্য কাজের তুলনায় মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা সহজ কেন?

ভূমিকাঃ
আমাদের দেশে অনেক নারী আছেন যারা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ঘরের বাইরে গিয়ে চাকরি করতে পারছেন না। কিন্তু তারাও স্বাবলম্বী হতে চান। মূলধনের অভাব, ব্যবসায় সম্পর্কিত পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব, এছাড়াও বিশেষ করে বিয়ের পর সংসার সামলানো সেই সঙ্গে শিশুদের দেখাশোনার দায়িত্ব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে চাকরি বা ব্যবসার জন্য বাড়তি সময় বের করা কঠিন।

কিন্তু বর্তমানে ই-কমার্সের মাধ্যমে নারীরা ঘরে বসে ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাই অনলাইন ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন নারী উদ্যোক্তারা। অনলাইন ব্যবসার একটি বড় অংশই নারী। এ ধরনের ব্যবসায় জড়িত থেকে নারীরা ঘরে বসে যেমন উপার্জনের সুযোগ পাচ্ছেন, তেমনি ক্রেতারাও ঘরে বসে তাদের পণ্যটি বুঝে নিচ্ছেন।

বাংলাদেশে এখন বছরে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয় অনলাইনে। আর প্রতিদিন অনলাইনে ডেলিভারি দেয়া হয় বিশ হাজার অর্ডার। দেশে ওয়েবভিত্তিক অনলাইন শপ আছে প্রায় এক হাজার। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় দশ হাজারের বেশি ফেসবুকভিত্তিক পেজ আছে, যার মাধ্যমে প্রায় ৮০০০ পেজ চালান নারী উদ্যোক্তারা।

ডিজিটালাইজেশন এর কারণে ই-কমার্স এর ব্যবসা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। অনলাইন ফ্যাশন হাউস, জুয়েলারি হাউসসহ নিত্যপণ্যের সম্ভার এখন অনলাইনে। ঘরে বসে কল করে কিংবা মেসেজ পাঠিয়ে পছন্দের পণ্যটি ক্রেতাদের পৌঁছে দিচ্ছে অনলাইন উদ্যোক্তারা।

ব্যস্ততা, সময়ের অভাব, পছন্দের সামগ্রী না পাওয়া, যানজট ইত্যাদির কারণে শপিংমলে গিয়ে অনেকেই কেনাকাটা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন তাই এখন তারা অনলাইনে কেনাকাটা করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ বোধ করেন। অনলাইনভিত্তিক ক্রেতা হিসেবেও সংখ্যার দিক দিয়ে এগিয়ে আছেন নারীরা।

এবার চলুন জেনে নিই, যেসব কারণে বর্তমানে অনলাইন ব্যবসা কে অন্য ব্যবসা তুলনায় বেশি নারীবান্ধব বলে মনে করা হয়।

অন্য কাজের তুলনায় মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা সহজ কেন?

স্বল্প বিনিয়োগঃ

যে কোন ব্যবসা শুরু করতে প্রথমেই প্রয়োজন হয় বিশাল অংকের বিনিয়োগ। এই কারণে অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত মূলধনের অভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। কিন্তু অনলাইনে অল্প পুঁজি দিয়েই ব্যবসা শুরু করা যায়।

এছাড়াও আপনি চাইলে বাসায় বসে নিজের তৈরি পণ্য যেমন বিভিন্ন হ্যান্ডিক্রাফট, গিফট আইটেম ইত্যাদির ব্যবসাও অনলাইনে করতে পারেন এক্ষেত্রে আপনাকে নামমাত্র বিনিয়োগ করতে হবে।

স্বল্প সময়ঃ

নতুন ব্যবসা শুরু করতে প্রচুর সময় লাগে। অনেক নারী এতসব ঝামেলার কথা চিন্তা করে অনলাইনেই ব্যবসা করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কারণ অনলাইন ব্যবসায় এসব ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় না। ধরুন, আপনি ঠিক করলেন একটি কসমেটিকের দোকান খুলবেন। এজন্য আপনাকে অনেক কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হবে।

যেমন, ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ, স্থান নির্বাচন, দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন, শো-রুমের ভাড়া, ডেকোরেশন আরো কত ঝামেলা। এসব কিছু করতে ইচ্ছে প্রচুর সময় এবং বিপুল পরিমাণের অর্থ আপনার পকেট থেকে বের হয়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য। এবার আসি এই কমার্সের দিকে।


কসমেটিকের দোকান খুলবেন? বানিয়ে ফেলুন নিজের ই-কমার্স ওয়েবসাইট আর তাতেই নিজের পণ্যগুলোর ছবি এবং সঠিক বিবরণ দিন, কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং করুন নিয়মিত, ব্যস। আপনার ব্যবসা চালু। অর্থাৎ, দ্রুততম সময়েে কম খরচে আপনার ব্যবসা শুরু।

পৃথিবী জুড়ে ব্যবসাঃ

নিজের ই-কমার্স সাইট থাকা মানে আপনি ঘরে বসেই সারা বিশ্বে নিজের ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইনে কেনাকাটা ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো এর সহজলভ্যতা আর আমাদের ব্যস্ততা।


ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে যে কোন জায়গায় সহজ যোগাযোগের ফলে, আজ আপনার অনলাইন পেজ থেকে অর্ডার করা যাচ্ছে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে।

নেই কোন পরোক্ষ খরচঃ

সাধারণ একটি ব্যবসায় যেখানে অফিস ভাড়া, আসবাবপত্র, কর্মচারীর বেতন, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি মোটা অংকের পরোক্ষ খরচের ভার বহন করতে হয়, সেখানে শুধুমাত্র ইন্টারনেট সুবিধা আর নূন্যতম কম্পিউটার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আপনি করতে পারেন লক্ষ্য থেকে কোটি টাকার ব্যবসা।

তাই, আপনার ব্যবসা যদি ক্ষুদ্র কিংবা মাঝারি হয় তবে, ই-কমার্স ব্যবস্থা আপনাকে দিতে পারে এই সকল মোটা অংকের পরোক্ষ খরচ থেকে মুক্তি।

স্বল্প মূল্যে কার্যকর মার্কেটিংঃ

অনলাইনে ব্যবসার জন্য আরেকটি বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং হলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবসার প্রচারণা করা। এর মূল কাজ ও টার্গেট হলো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নিয়ে। বর্তমানে এটিই সবচেয়ে কার্যকর ও সবচেয়ে সাশ্রয়ী মার্কেটিং মাধ্যম আপনার পণ্য ও ব্যবসার প্রচারের জন্য।

কোম্পানির সেবা বা পণ্যের বিজ্ঞাপন ইত্যাদির জন্য এখন ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষ করে ফেসবুককে বেছে নিচ্ছেন। কম খরচে এবং অল্প সময়ে ব্যবসায়িক পরিচিতির জন্য এটা একটি অন্যতম প্রচারের মাধ্যম। ফেসবুকে প্রচারণা করলে, আপনার প্রচারণার ফল তাৎক্ষণিক দেখতে পারবেন এবং তা পর্যালোচনা করতে পারবেন।

সেইসাথে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পুরাতন বিজ্ঞাপন বন্ধ করে নতুনভাবে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। অনলাইনে খুব সহজেই আপনি আপনার ক্রেতাকে খুঁজে নিতে ও তাদের আপনার পণ্য ও সেবা সম্পর্কে জানাতে পারবেন। যা প্রথাগতভাবে করতে গেলে গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা।

তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সঠিক ব্যবহার করে খুব সহজেই নিজের অনলাইন ব্যবসাকে করে ফেলা যায় চাঙ্গা।

পরিচালনায় সহজঃ

ব্যবসা যত ছোট কিংবা বড় হোক না কেন, ব্যবসা পরিচালনা সবসময় কঠিন। আর এই কঠিন কাজটাকে কিছুটা হলেও সহজ করে ই-কমার্স। এক্ষেত্রে দোকান ভাড়া কিংবা কর্মচারীদের বেতন নিয়ে তো চিন্তা করতেই হয় না বরং, ব্যবসার প্রয়োজনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেকোন সিদ্ধান্ত নেয়া যায় সহজে।

অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা সহজঃ

এক সময় অনলাইন ব্যাংকিং, মাস্টার কার্ড, ডেবিট ক্রেডিট কার্ড, ভিসা কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং এসব সুযোগ সুবিধা ছিল স্বপ্নের মতো। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগের কল্যাণে আজ সবার হাতে হাতে বিভিন্ন ক্রেডিট কিংবা ডেবিট কার্ড যা অনলাইন ব্যবসাকে করেছে আরও সহজ ও নিরাপদ।

২৪ ঘন্টায় ব্যবসাঃ

অন্য সকল ব্যবসার চেয়ে ই-কমার্স ব্যবসার একটি বড় পার্থক্য হলো এর ২৪ ঘন্টাই অপারেশনাল থাকার ব্যবস্থা। অর্থাৎ, অনলাইনে আপনার ব্যবসা চলবে ২৪ ঘন্টাই। ক্রেতা যেকোনো সময় আপনার ই-কমার্স সাইটটি ভিজিট করতে ও পণ্য কিনতে পারবে।

যার মানে, আপনি ঘুমিয়ে থাকলেও আপনার ব্যবসা কিন্তু চলবে তার আপন গতিতে, যা ই-কমার্স ব্যবসার জনপ্রিয়তার একটি বড় কারণ। অনেক নারী উদ্যতা বলেন, অনলাইন ব্যবসা অনেক ধৈর্যের। ব্যবসার শুরুতেই সাফল্য এবং লাভের আশা করা যায় না। ব্যবসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ক্রেতার বিশ্বাস অর্জন করা, যা অনেকটাই কঠিন।

তবে একবার বিশ্বস্ততা অর্জন করলে পরবর্তীতে সমস্যা হয় না। এছাড়াও ফেসবুক পেজে এ্যাকটিভ থাকা, মেসেজের উত্তর দেয়া, নিয়মিত পেজে পোস্ট করা, সব মিলিয়ে ধৈর্য নিয়ে এই ব্যবসার কাজে হাত দিতে হয়। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে ই-কমার্স।

এ কাজে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যা অবশ্যই আমাদের দেশের জন্য আশাব্যঞ্জন দিক।

ঘরে বসে মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা এর কিছু আইডিয়া

অন্য ব্যবসার তুলনায় মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা সবথেকে সহজ। কারণ মেয়েরা ঘরে বসেই এই কাজটি করতে পারে। বর্তমানে অনলাইন ব্যবসা বিভিন্ন রকমের আছে। ঘরে বসে মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা এর কিছু আইডিয়া আপনাদের সাথে এখন শেয়ার করবঃ
  • ব্লগিংঃ ঘরে বসে অনলাইন কাজ গুলোর মধ্যে সবথেকে সহজ কাজটি হলো ব্লগিং। ব্লগিং মূলত লেখালেখির কাজ। আপনার যদি লেখালেখির উপর দক্ষতা থাকে এবং লেখালেখি করতে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই এটি বেছে নিতে পারেন। আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটে একবার এডসেন্স পেয়ে গেলেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। এডসেন্সের পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড পার্টনারশিপ, এনডোর্সমেন্ট করেও আয় করতে পারবেন। মেয়েদের অনলাইন ব্যবসার মধ্যে সবথেকে এটি সহজ। 
  • কনটেন্ট রাইটিংঃ কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য আপনাকে কোন ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে না। শুধুমাত্র আপনাকে অন্যের ওয়েবসাইটের জন্য লিখতে হবে। এসইউ করে ভালো মানের কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখতে পারলে আপনার বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার পাবেন। একেকটি আর্টিকেল আপনি বিভিন্ন দামে সেল করতে পারবেন। ইনভেস্ট ছাড়া ঘরে বসে মেয়েদের অনলাইন ব্যবসার এটি সবথেকে সহজ পদ্ধতি।
  • ইউটিউব চ্যানেলঃ বর্তমানে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা কতটা সেটা আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন। ইউটিউবে ভালো করে দেখলে বুঝতে পারবেন যে আপনি প্রতিনিয়ত যেসব কাজ করেন সেগুলো নিয়েই একেকজনের ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। তবে হ্যাঁ আপনার যে কাজে বেশি পারদর্শিতা রয়েছে সেই বিষয়টি নিয়ে youtube চ্যানেল তৈরি করে ফেলুন। ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনে ইনকামের মাধ্যমে মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা আরও সহজ হয়ে গেছে। 
  • পোশাক বিক্রিঃ অনেক মেয়েরাই সেলাই মেশিন এর মাধ্যমে বিভিন্ন পোশাক তৈরি করতে পারেন। বাজার থেকে বিভিন্ন সিট কাপড় কিনে নিয়ে বাসায় বিভিন্ন রকমের পোশাক তৈরি করে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন। 
  •  আচার তৈরির ব্যবসাঃ আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসাটি বেছে নিতে পারেন। এই ব্যবসা করার জন্য আপনার অতিরিক্ত কোন সময় প্রয়োজন হবে না। আপনি চাইলে বাসার কাজের পাশাপাশি এটি করতে পারবেন। বিভিন্ন রকমের আচার তৈরি করে facebook পেজের মাধ্যমে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 
  • গিফট সামগ্রীর ব্যবসাঃ আপনি ইউনিক কিছু শোপিস বা গিফট সামগ্রী পাইকারি দামে কিনে সেগুলো সেল করতে পারেন। অনলাইনে গিফট সামগ্রী বিক্রির অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে।

পরিশেষে 

অন্য কাজের তুলনায় মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা সহজ কেন এ বিষয়টি আপনাদের সাথে উপরে বিস্তারিত জানিয়েছি। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং কোন মন্তব্য থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে লিখবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url