স্বল্প বিনিয়োগে অনলাইন বিজনেস আইডিয়া বা Low Investment Online Business Ideas 2024

স্বল্প বিনিয়োগে অনলাইন বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে আজকে আমাদের এই আর্টিকেল। আপনার যদি নামমাত্র পুঁজি থাকে তাহলে আপনি এই বিজনেস গুলো চাইলেই শুরু করতে পারেন। Low Investment Online Business Ideas 2024 বা স্বল্প বিনিয়োগে অনলাইন বিজনেস আইডিয়া এর মধ্যে যেকোন একটি নিয়ে ব্যবসা শুরু করে দিন।
স্বল্প বিনিয়োগে অনলাইন বিজনেস আইডিয়া বা Low Investment Online Business Ideas। জানবো আমরা। janbo amra
স্বল্প বিনিয়োগে অনলাইন বিজনেস আইডিয়া বা Low Investment Online Business Ideas

সূচিপত্রঃ স্বল্প বিনিয়োগে অনলাইন বিজনেস আইডিয়া বা Online Business Idea 2024

ভূমিকাঃ

স্বল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে অনলাইন বিজনেস খুব সহজেই দাঁড় করানো সম্ভব। কিন্তু আমরা অনেকেই অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে খুব একটা বেশি জানিনা। সর্বপ্রথম আমাদের অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।

বাংলাদেশের স্বল্প বিনিয়োগের অনেক অনলাইন বিজনেসের আইডিয়া রয়েছে যাকে ইংরেজিতে বলা হয় Low investment online business ideas। অভিজ্ঞতা বেশি এবং আপনার ইন্টারেস্ট বেশি রয়েছে সেই বিষয় নিয়ে আপনি অনলাইনে একটি বিজনেস শুরু করতে পারেন।

আপনি যদি স্বল্প বিনিয়োগে কোন বিজনেস শুরু করতে চান কিন্তু আপনার কাছে বর্তমানে কোনরকম আইডিয়া নেই তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কাজে লাগবে।

স্বল্প বিনিয়োগে অনলাইন বিজনেস আইডিয়া বা Low Investment Online Business Ideas 2024

১। ব্যবহৃত জিনিস ক্রয় বিক্রয়

অনলাইনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই এই কাজটি শুরু করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কোন এরিয়া বা নির্দিষ্ট কোন অফিস বাছাই করতে হবে না। 0LX এর মত প্ল্যাটফর্মটির জন্য এইসব ব্যবহৃত জিনিসপত্রের ক্রয় বিক্রয় দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।

অনলাইনে যেমন পুরাতন জিনিস বিক্রয় করার মানুষের অভাব নেই তেমন কেনার মানুষেরা অভাব নেই। সেখানে একটি পুরাতন পণ্য কিনে আপনি সেই পণ্যটির ডিটেলস এবং দাম লিখে দিবেন সেখান থেকে কোন ক্রেতার পছন্দ হলে তিনি অর্ডার কনফার্ম করবেন।

২। সোশ্যাল মিডিয়া এবং মেসেঞ্জার

বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ।ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি বেশী ঝুঁকে পড়ি।বর্তমানে এমন কোন মানুষ নেই যে কিনা সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে জানেনা।সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনি আমি দুজনই আসক্ত।

কিন্তু আপনি এই আসক্তিকে একটি ব্যবসায় রূপান্তর করতে পারেন। যারা অতি চালাক প্রকৃতির হয়ে থাকে তারা এই আসক্তিকে অনেক আগেই ব্যবসায় রূপান্তর করে ফেলেছে।

এমন অনেক লোক রয়েছে যারা নিজেদের ব্যস্ততার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার সঠিকভাবে হ্যান্ডেল করতে পারেনা এজন্য তারা একটি করে লোক নিজেদের সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট দেখাশোনার জন্য রাখে। আপনিও ঠিক এই কাজটি করতে পারেন।

বড় বড় সেলিব্রেটি, নায়ক, গায়ক, শিল্পপতি এরা নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট হ্যান্ডেল করার জন্য লোক হায়ার করে।যদি আপনি এই কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।এবং আপনি এই কাজটি করে মাসে মাসে অধিক টাকা ইনকাম করতে পারেন।

৩। খাদ্য পরিবেশন সেবা

এটি একটি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া।অনেকেই এই আইডিয়া সম্পর্কে কোনরকম ধারণা নেই।মূলত এই কাজটি মেয়েদের জন্য। বিয়ে বাড়ি কিংবা বড় কোন অনুষ্ঠানে ভালো ক্যাটারিং মানুষ চাই চায়। সে ক্ষেত্রে এই অনলাইন বিজনেস আইডিয়াটি যেভাবে সাহায্য করতে পারে।

এই কাজটি একা করা কখনোই সম্ভব না এজন্য কয়েকজন মিলে এই কাজটি করতে হয়। কাজটি করতে অবশ্যই সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে তা না হলে ব্যবসাটি দাঁড় করানো সম্ভব না।

৪। বিবাহের পরিকল্পনাকারী

বিয়ে তো সবার একবারই হয়। জন্য সবাই চায় সেই বিয়েটি স্মরণীয় এবং জাঁকজমক পূর্ণভাবে সম্পূর্ণ করতে। কিন্তু অনেক সময় মানুষের নিজেদের পক্ষে এটি করা সম্ভব হয়ে থাকে না। এজন্য প্রয়োজন একটি ভালো wedding planner।

আর এইসব wedding planner দের পাওয়া যায় অনলাইন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আপনি এদের হাতে সম্পন্ন কাজটি ছেড়ে দিতে পারেন। এটিও একটি ছোটখাটো বিজনেস। এই বিজনেসটিও বেশ কয়েকজন মিলে করতে হয়। আপনি আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধব কিংবা কাছের কিছু মানুষদের নিয়ে কাজটি শুরু করে দিতে পারেন।

৫। যোগব্যায়াম কেন্দ্র

এখন বর্তমানে অনেকেই জিমে যেতে চান না।সে কারণে অনেকে অনলাইনে যেমন facebook, youtube এর মাধ্যমে ভিডিও দেখে যোগ ব্যায়াম করে থাকেন।এটি একটি খুব ভালো বিজনেস আইডিয়া।

৬। ড্রপশিপিং

বর্তমান সময়ে ছোটখাটো একটি বিজনেস আইডিয়ার মধ্যে ড্রপশিপিং একটি অন্যতম আইডিয়া। স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে আপনি এই বিজনেস টি দাঁড় করাতে পারেন।

 ৭। ফাস্টফুড পার্লার

আপনি অনলাইনে একটি ফাস্টফুড পার্লার খুলতে পারেন। বর্তমান জেনারেশনের কাছে ফাস্টফুড কতটা জনপ্রিয় আশা করি আপনি সেটা জানেন। তাহলে এত দেরি না করে একটি ফাস্টফুড এর দোকান খুলে ফেলুন। অন্যান্য জায়গার তুলনায় দাম কম রাখুন।

খাবারের গুণগত মান অন্যান্য জায়গায় তুলনায় ভালো রাখুন। এতে করে দেখবেন আপনার দোকানের খাবার গুলো খুব দ্রুত বিক্রয় হয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি কাস্টমারের ডিমান্ড অনুযায়ী খাবারগুলো আয়োজন করতে পারেন তাহলে আপনার দোকানটি আরো ভালোভাবে চলবে।

আর হ্যাঁ দোকানে অবশ্যই ফুচকা রাখবেন যেটি মেয়েদের খুবই পছন্দের খাবার। এভাবে প্রথমত স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে আপনি একটি ফাস্টফুডের দোকান খুলে ফেলতে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে যখন ব্যবসাটি বড় হবে তখন আপনি কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের আইটেম সেখানে যোগ করবেন।

৮। ফটোগ্রাফি

আপনি কি ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসেন। যদি ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসেন আর সেটিকে ফ্যাশন হিসেবে মেনে থাকেন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করে দিন আপনার ফটোগ্রাফি ছোটখাটো একটি বিজনেস।

বর্তমান যুগে বিবাহ কিংবা কোন বিশেষ অনুষ্ঠানের মানুষ চাই সেটি স্মরণীয় করে রাখতে।তাই মানুষের কাছে যত দামি দামি ফোনই থাক না কেন সেখানে ফটোগ্রাফারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।কিন্তু আপনি যদি ফটোগ্রাফার না হতে চান তাহলেও কোন সমস্যা নেই।

আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আপনার তোলা ছবিগুলো বিক্রয় করতে পারবেন। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে।

সেখানে আপনি কোন রকম টাকা বিনিয়োগ না করে নিজের তোলা ছবিগুলো বিক্রয় করে ইনকাম করতে পারবেন। কি ছবিগুলো শুধুমাত্র দেশি না ছবিগুলো আপনি বিদেশেও বিক্রয় করতে পারবেন।

৯। কোচিং সেন্টার

আপনার যদি পড়াশুনা নিয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি একটি কোচিং সেন্টার ওপেন করতে পারেন।এতে করে আপনার লেখাপড়া নিয়ে চর্চা হবে এবং মাস গেলে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

শুধুমাত্র কোচিং সেন্টার না আপনি টিউশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। যেকোনো বিষয়ে যেমন আপনার সাইন্স আরস্ কমার্স গান ড্রয়িং নাচ যেকোনো বিষয়ে যদি আপনি অভিজ্ঞ হন তাহলে আর দেরি না করে অতি দ্রুত একটি কোচিং সেন্টার খুলে ফেলুন।

১০। নার্সারি বা বাগান

স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে আপনি একটু নার্সারি বা বাগান তৈরি করতে পারেন।এর জন্য আপনার খুব বড় জমির দরকার হবে এমন কোন কথা নেই। আপনি নিজের বাড়ির উঠানেও একটি ছোট্ট করে নার্সারি বা বাগান তৈরি করে নিতে পারেন।

সেখানে আপনি ফুল এবং ফল যেসব ধরনের ফল বাংলাদেশের পাওয়া যায় না সেইসব ফলের চাষ করতে পারেন। এতে করে খুব সহজেই আপনি লাভবান হতে পারেন।

১১। হোম ডেলিভারি

হোম ডেলিভারি এই বিজনেস টি মহিলাদের জন্য সর্বোত্তম একটি বিজনেস হতে পারে। আপনার বাড়িতে যদি অনেক টিফিন বাটি জমা হয়ে থাকে তাহলে আর দেরি না করে সুন্দর সুন্দর ডিশ রান্না করে পৌঁছে দিন সকলের কাছে।

যারা মেসে থাকে তাদের সাথে যোগাযোগ করে খুব সহজেই হোম ডেলিভারির ব্যবসাটি আপনি চালিয়ে যেতে পারেন।

১২। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত একটি অনলাইন বিজনেস। এটি সাধারণত ফেসবুক এবং instagram এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। ধরুন কোন কোম্পানির একটি প্রোডাক্ট প্রচার করতে হবে।

সেই কোম্পানির সাথে আপনি যোগাযোগ করে কোম্পানি প্রোডাক্টটি আপনি আপনার facebook পেজ অথবা instagram আইডির মাধ্যমে রেফার করলেন। পরবর্তীতে ওই প্রোডাক্ট সেল এর উপরে আপনাকে আপনার পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। এ কাজটির জন্য আপনাকে কোন রকম অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে না।

১২। অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা

অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা এটি বর্তমান যুগে বহুল ব্যবহৃত একটি অনলাইন বিজনেস। সাধারণত এই ব্যবসাটি নারীদের জন্য খুবই উপকারী। মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে বস্ত্র একটি।

আপনি যদি চান নারী-পুরুষ শিশু বৃদ্ধ সকলদের নিয়ে একসাথে কাজ করতে তাহলে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা আপনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। মানুষ নিত্য নতুন ভিন্ন ডিজাইনের জামা কাপড় পড়তে পছন্দ করে।

আপনি যদি সেই কাপড় গুলো বাহির থেকে কিংবা নিজের ডিজাইন করে কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন তাহলে আপনার সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে। পাশাপাশি আপনি যে পেজ বা ওয়েবসাইট থেকে কাপড় গুলো বিক্রয় করছেন সেটিও জনগণের সামনে উন্মুক্ত হয়ে যাবে এতে করে আপনার সেল ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।

অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য আপনাকে কিছু টাকা বিনিয়োগ করতেই হবে। বিভিন্ন ধরনের কাপড় এবং ডিজাইন, সুতা ও রঙের জন্য স্বল্প পরিমাণ বিনিয়োগ করে আপনি তৈরি করতে পারেন আপনার ব্যক্তিগতভাবে একটি অনলাইন বিজনেস।

অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করে অনেক নারী উদ্যোক্তা আজকের এই সময়ে সফলতা লাভ করেছে।শুধুমাত্র নারীরা না পুরুষেরাও অনলাইনে কাপড়ের বিজনেস করে অনেক সফলতা লাভ করেছেন।

তাই বলা যেতেই পারে স্বল্প বিনিয়োগ করে আপনি যদি অনলাইন বিজনেস এর মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে কাপড়ের ব্যবসা আপনার জন্য সঠিক হবে।

১৩। ইউটিউবে ভিডিও তৈরি

বর্তমান সময়ে ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে তরুণ তরুণীরা অনেক অর্থ উপার্জন করছে। ইউটিউবে অনেক রকমের ভিডিও তৈরি করা যায়। ব্লগ ভিডিও, শিক্ষামূলক ভিডিও, ইন্টারটেনমেন্ট ভিডিও এছাড়াও অনেক ভিডিও রয়েছে।

আপনার মধ্যে যদি ভিডিও তৈরি করার ইচ্ছা, সঠিকভাবে প্রশ্ন উপস্থাপন করার ক্ষমতা এবং ভিডিও এডিট করার স্কিল থাকে তাহলে আপনি দেরি না করে ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও মেকিং শুরু করে দিতে পারেন।

যদি আপনার ভিডিওটি সুন্দর এবং ভালো হয় তাহলে অবশ্যই সেটি দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। এতে করে আপনার ভিডিও থেকে ইনকাম হবে। এটির জন্য আপনাকে অল্প কিছু পরিমাণ টাকা খরচ করতে হবে।

১৪। কনটেন্ট রাইটিং

বর্তমান সময়ের কনটেন্ট রাইটিং একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। ধরুন আপনি খুব সুন্দর সুন্দর গল্প, কিংবা কাহিনী লিখতে পারেন। তাহলে সেটি শুধুমাত্র আপনার ডাইরিতে না লিখে ফেসবুকে একটি পেজ খুলে আপনি সেখানে লিখতে পারেন।

আপনার কনটেন্টটি যদি মানুষের ভালো লেগে থাকে তাহলে সেখান থেকে আপনার অর্থ উপার্জন হবে। আবার এমনও হয় আপনার কনটেন্ট যদি কোন কোম্পানি বা সাইটের ভালো লেগে থাকে তাহলে তারা সেটি কিনে নিয়ে নিজেদের প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে কাজে লাগাই।

আপনি যদি চান তাহলে নিজেও একটা সাইট তৈরি করতে পারেন। তাহলে আপনাকে আর কষ্ট করে কনটেন্ট রাইটিং করতে হবে না তখন আপনি নিজে একটি সাইট পরিচালনা করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

অনলাইন বিজনেসের মধ্যে এ কনটেন্ট রাইটিং বিজনেস টি সহজ। এতে খুব অল্পতেই বেশি অর্থ উপার্জন করা যায়।

১৫। ডেটা এন্ট্রি

ডেটা এন্ট্রি বর্তমান সময়ে আরো একটি জনপ্রিয় অনলাইন ব্যবসা। বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ। এখন আর খাতায় লিখে কোন তথ্য সংরক্ষণ করা হয় না। এবার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের মাধ্যমে সকল তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়।

একটি কোম্পানির কতজন সদস্য কাজ করে,হিসাব নিকাশ,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তথ্য সকল কিছুই কম্পিউটারে ডাটা এন্ট্রি করে রাখা হয়। আপনি যদি কম্পিউটার সম্পর্কে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য খুবই সোজা এবং লাভজনক হয়ে থাকবে।

এই কাজটির জন্য আপনাকে কোন রকম অর্থ বিনিয়োগ ও করতে হবে না।এই কাজটির জন্য আপনাকে কোন কোম্পানি অথবা অফিসে গিয়ে সশরীরে কাজ করতে হবে না।এই কাজটি আপনি নিজের ঘরে বসে করতে পারবেন।

১৬। ব্লগিং

বর্তমান সময়ে সকলেই কমবেশি চাকরির পেছনে ছুটেন। কিন্তু সরকারি অথবা বেসরকারি চাকরির দুটোর বাজারি বর্তমান সময়ে এসে খুবই খারাপ। আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার জন্য ব্লগিং হবে সর্বোত্তম পন্থা।

এই সময়ে এসে ব্লগিংকে বলা হয়ে থাকে সোনার ডিম পাড়া হাসের মতো। হাস যদি একবার ডিম পাড়তে শুরু করে তাহলে আপনার খুশি আর ধরে রাখে কে। ব্লগিংয়ের জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন একটি ইন্টারনেট সংযোগকারি কম্পিউটার।

আর এই জন্য প্রয়োজন একটা ডোমেইন যেটা মূলত আপনার ব্লগের নাম আর একটা হোস্টিং। আর অবশ্যই প্রয়োজন আপনার যে কোন বিষয়ে প্রতি পারদর্শিতা। এ কাজটির মাধ্যমে আপনি সফল হবেনই। অন্যান্য চাকরির পাশাপাশি পার্ট টাইম জব হিসেবে আপনি এই ব্লগিংয়ের ব্যবসাটি করতে পারেন।

১৭। জরিপে অংশগ্রহণ

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ তরুণ তরুণীরা নিজেদের অবসর সময় ব্যয় করার জন্য এই কাজটি করে থাকে। এ কাজটির জন্য আপনাকে খুব বেশী সময় ব্যয় করতে হবে না 15 থেকে 20 মিনিট সময় হলে আপনি এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।

এই কাজটি মূলত কোন একটি কোম্পানি তাদের নিজস্ব প্রোডাক্টের ওপর বিভিন্ন ধরনের ডিটেলস বর্ণনা করে থাকেন। এখন কোনো ক্রেতা সেই প্রোডাক্টটিভ ক্রয় করতে যাবেন তিনি বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করেন।

এ প্রশ্নগুলোর সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারলে কাজটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। এটি করে আপনি প্রতি পনেরো থেকে বিশ মিনিট পর পর ০.৫-২ ডলার ইনকাম করতে পারেন।

১৮। ই-বুক লেখা

বর্তমান সময়ে এসে তরুণ তরুণীর পাশাপাশি অনেক ভদ্রলোকও রয়েছেন যারা ইবুকে লেখা পড়তে পছন্দ করেন। এখন আর কেউ গ্রন্থাগার এগিয়ে বই পড়তে চান না। আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তাহলে আর দেরি না করে আজ থেকেই লেখা শুরু করে দিন।

আপনি কি বই প্রকাশনি নিয়ে ভাবছেন। এটা নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। বর্তমানে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা শুধুমাত্র ই-বুকেই বই প্রকাশ করে থাকে। আপনি চাইলে বিভিন্ন ব্লগ অথবা অনলাইন পেজের মাধ্যমে আপনার লেখা বইটি দর্শকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন।

ইন্টারনেটের যুগে এসে এটা খুব সুবিধা হয়েছে যে আপনাকে আর কষ্ট করে বই প্রকাশনীর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। কারো যদি আপনার লেখা বইটি পছন্দ হয়ে যায় তাহলে তারা নিজেই আপনার কাছ থেকে সেই লেখাটি কিনে নেবে।

১৯। স্মার্টফোনের অ্যাপ তৈরি

এখন কম বেশি সকল মানুষই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। যদি আপনি স্মার্ট ফোন সম্পর্কে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি স্মার্ট ফোনের জন্য কার্যকরী একটি অ্যাপস তৈরি করতে পারেন। ধরুন আপনি একটি কার্টুন অ্যাপ তৈরি করলেন ।

এর মাধ্যমে সকলে খুব সহজে কার্টুনগুলো দেখতে পারবে। আবার ধরুন আপনি এমন একটি অ্যাপ তৈরি করলেন যেটির দ্বারা খুব সহজেই মানুষ ইংলিশ থেকে বাংলা এবং বাংলা থেকে ইংলিশ শব্দ তৈরি করে নিতে পারবে।

এছাড়াও আপনি অনলাইন ইনকামের জন্য কোন অ্যাপস তৈরি করতে পারেন যেখান থেকে খুব সহজেই মানুষজন তারা যে অনলাইনে ইনকাম করতে চাই সেটির কাজ করতে পারবেন। কিন্তু আপনি স্মার্টফোনের অ্যাপ তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কম্পিউটার সিস্টেম নিয়ে পারদর্শী হতে হবে।

আপনি যদি কম্পিউটারে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এই সব অ্যাপ তৈরি করা ডাল ভাতের মত। তাহলে আর দেরি না করে একটি সুন্দর অ্যাপস তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু করে দিন আপনার ফোনের জন্য একটি কার্যকরী অ্যাপ তৈরি।

২০। হোম বেকারি

আপনি কি খুব ভালো স্বাদের রান্না করতে পারেন। তাহলে তো আপনার জন্য হোম বেকারি এই ব্যবসাটি খুবই ভালো হবে। সকলেই চাই নিজেদের ব্যস্ততার মাঝেও বাড়ির স্বাদের রান্না খেতে। এই কর্মব্যস্তময় জীবনে কজনই বা বাড়ির খাবার খেতে পারে।

বেশিরভাগ মানুষকেই হোটেলের খাবার খেয়ে জীবনযাপন করতে হয়। আবার এমন কিছু ম্যাস রয়েছে যেখানে বাহির থেকে হোম ডেলিভারি করে দেওয়া হয়। সেসব খাবারের গুণগত মান, খাবারের পরিমাণ একজন মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর না।

সকলেই চাই দিন শেষে একটু স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে। তাই আপনি যদি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের বিভিন্ন ধরনের আইটেম রান্না করতে জানেন তাহলে আপনি শুরু করে দিতে পারেন হুম বেকার এর ব্যবসাটি। এই ব্যবসাটিতে আপনাকে স্বল্প কিছু অর্থ বিনিয়োগ করে ব্যবসাটি শুরু করতে হবে।

আপনি চাইলে অনলাইনে একটি পেজ খুলে আপনার রান্নার পুরো ডিটেলস সেখানে সেখানে ভিডিওর মাধ্যমে দেখাতে পারেন। এতে করে আপনার রান্নাটি কি রকম স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করছেন এটিও জনগণ দেখতে পাবে এবং আপনি সেখান থেকে খাবারের অর্ডার পাবেন।

এজন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু লোক কাজে রাখতে হবে। আপনার রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় রান্নাঘর, কাজে ব্যবহৃত আপনাকে ঠিকভাবে জোগাড় করে রাখতে হবে। আপনি যদি মজার মজার রান্না করতে পারেন তাহলে আর দেরি না করে হোম বেকারি ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।

২১। DIYএবং ক্রাফট তৈরি

বর্তমান সময়ে এই কাজটি খুব জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি হাতের কাজের পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য খুবই সোজা।

DIY অর্থ Do It Yourself.যদি আপনি কোন বিশেষ পণ্য তৈরিতে আলাদা দক্ষতা অর্জন করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য একটি বড় মার্কেট অপেক্ষা করছে। DIY কাজের কোন শেষ নেই। এটির মধ্যে হস্তশিল্পও রয়েছে।

চাইলে আপনি পুরাতন জিনিস থেকে নতুন কিছু তৈরি করতে পারেন। আবার আপনি ফেলনা জিনিস দিয়ে একটি সুন্দর জিনিস তৈরি করতে পারেন।

আপনার মধ্যে যদি এই দক্ষতা গুলো থেকে থাকে তাহলে আপনি কাজগুলো করে ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সেগুলো পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

আপনার কাপ তৈরির ভিডিও ফেসবুক বা youtube এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেন। যদি এটি কারো পছন্দ হয়ে যায় তাহলে এটি সে ক্রয় করবে এবং এখান থেকে আপনার ইনকাম হবে।

২২। হাতে তৈরি জুয়েলারি এবং অন্যান্য জিনিস

বর্তমান সময়ে এসে মানুষজন একটু অন্যরকমের জুয়েলারি এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র পড়তে পছন্দ করেন। শুধুমাত্র হাতে জুয়েলারি না অনেক কিছুই তৈরি করা যায়। আপনি যদি হস্তশিল্পে নিপুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই কাজগুলো করতে পারেন।

যেমন বর্তমানে হ্যান্ড প্রিন্ট শাড়ি,ব্যাগ এগুলো মহিলাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সকলেই চাই নিজেদের ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে কিছু পোশাক পড়তে। হ্যান্ড মেড জুয়েলারি গুলো মূলত মাটির এবং কাঠের হয়ে থাকে।

এগুলোর প্রতি মানুষের আকর্ষণ একটু বেশি। আপনার এটা জেনে রাখা ভালো হাতে তৈরি জুয়েলারি এবং অন্যান্য জিনিসের জন্য অনেক ক্রেতা অনলাইনের অপেক্ষা করছে।

তাই আপনি যদি হস্তশিল্পে নিপুন হয়ে থাকেন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে আপনিও কিছু হ্যান্ড মেড জুয়েলারি এবং অন্যান্য জিনিস তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সেটি আপলোড করে দিন। আপনার জিনিসগুলো যদি ভালো হয়ে থাকে হলে দিন দিন আপনার ক্রেতা সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এতে করে আপনার ইনকামও বৃদ্ধি পাবে।

খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলো

আপনারা যারা স্বল্প টাকা বিনিয়োগ করে কিছু অনলাইন আইডিয়া নিতে চেয়েছিলেন তাদের জন্য আশা করি এই আর্টিকেলটি অনেক উপকারে আসবে। এছাড়াও অনেক অনলাইন বিজনেস আইডিয়া রয়েছে।

কিন্তু আপনি একটি কথা মনে রাখবেন আপনি অনলাইনে যেই বিজনেসি করতে চান না কেন আপনাকে সেই বিষয়ে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে। আপনি যদি হুট করে কোন একটি বিজনেস শুরু করে দেন তাহলে সেখান থেকে আপনার লাভের থেকে লস বেশি হবে।

তাই আপনি একটি সঠিক পরিকল্পনা করে আপনি যেই বিষয়ে প্রতি পারদর্শী এবং দক্ষ। বিষয়টির প্রতি আপনার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি এ বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে একটি ছোটখাটো বিজনেস শুরু করে দিন। ছোট বিজনেস থেকে আপনি যদি সেটি সঠিকভাবে মেনটেন করতে পারেন তাহলে সেটি একদিন অনেক বড় বিজনেস হয়ে দাঁড়াবে।

পরিশেষেঃ স্বল্প বিনিয়োগে অনলাইন বিজনেস আইডিয়া বা Low Investment Online Business Ideas 2024

স্বল্প বিনিয়োগে অনলাইন বিজনেস আইডিয়া গুলো ইতিমধ্যেই আপনারা জেনে ফেলেছেন। দেরি না করে এই আইডিয়া গুলোর মধ্যে যেকোন একটি নিয়ে কাজে লেগে পড়ুন। 

প্রথমেই সাফল্যের কথা না ভেবে ধৈর্য্য ধরে পরিশ্রম করুন এবং লেগে থাকুন। এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য থাকে নিচে কমেন্ট বক্সে লিখবেন। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url