প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে হাদিস ও দ্বিতীয় বিয়ের শাস্তি

দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে হাদিস প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে হাদিস ও দ্বিতীয় বিয়ের শাস্তি এ সম্পর্কে আরও  জানতে এ  আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ুন।
প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে হাদিস | জানবো আমরা ।janbo amra |
প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে হাদিস
প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে হাদিস ও দ্বিতীয় বিয়ের শাস্তি এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সূচীপত্র ঃপ্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে হাদিস ও দ্বিতীয় বিয়ের শাস্তি

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে হাদিস

ইসলামে একাধিক বিয়ের অনুমতি রয়েছে, তবে এটি কিছু শর্তসাপেক্ষ। কুরআন এবং হাদিসে এ বিষয়ে আলোচনা আছে।

কুরআনের বক্তব্য:

সূরা নিসা (৪:৩):
 “আর যদি তোমরা আশংকা কর যে, ইয়াতীম নারীদের ব্যাপারে ইনসাফ করতে পারবে না, তবে যাদেরকে ভালো লাগে, তাদের মধ্য থেকে দুই, তিন বা চার জনকে বিবাহ করো। কিন্তু যদি আশংকা কর যে, তোমরা ইনসাফ করতে পারবে না, তবে একজনই যথেষ্ট.”

এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, ইনসাফ বা ন্যায়বিচার করতে না পারার আশঙ্কা থাকলে একজন স্ত্রীতেই সীমাবদ্ধ থাকা উত্তম।

হাদিসের আলোকে:

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে কি না — এ বিষয়ে সরাসরি কোনো সহীহ হাদিস নেই যেখানে বলা হয়েছে, “প্রথম স্ত্রীর অনুমতি আবশ্যক”।

তবে, ন্যায়বিচারের বিষয়টি হাদিসে গুরুত্বসহকারে এসেছে:

সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে আছে:

 রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি দুই স্ত্রীর মধ্যে কোনো একটির দিকে ঝুঁকে থাকে (অন্যায়ভাবে), কিয়ামতের দিন সে একপাশে হেলে পড়া অবস্থায় উঠবে।”

ইসলামী ফিকহ অনুযায়ী:

অধিকাংশ আলেম (বিশেষত হানাফি, শাফেয়ী মাযহাব অনুসারে) বলেন, দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রথম স্ত্রীর অনুমতি শরীয়তের দৃষ্টিতে বাধ্যতামূলক নয়।

তবে এটি নৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে পারিবারিক কলহ, অবিচার ও অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে।

সারমর্ম:

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়েও দ্বিতীয় বিয়ে ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হতে পারে, তবে ন্যায়বিচার বজায় রাখা এবং পারিবারিক শান্তি রক্ষা করাই ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা। অনুমতি না নেওয়া অনৈতিক বিবেচিত হতে পারে, যদিও তা সরাসরি নিষিদ্ধ নয়।

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে হাদিস জানলেন এইবার জানুন ইসলাম কি বলে এই সম্পর্কে। 

দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

ইসলামে দ্বিতীয় বিয়ে  এবং একাধিক বিয়ে  একটি অনুমোদিত বিষয়, তবে এর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে। নিচে কুরআন, হাদীস এবং ইসলামি ফিকহ অনুযায়ী বিষয়টি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা হলো:

১. কুরআনের দৃষ্টিতে:

সূরা নিসা (৪:৩):

 “...তোমরা যাদেরকে ভালোবাস তাদের মধ্যে দুই, তিন ও চারজন করে বিয়ে করো। কিন্তু যদি আশংকা কর যে, তোমরা তাদের মধ্যে ইনসাফ করতে পারবে না, তাহলে একজনই (বিয়ে করো)…”

মূল বার্তা:

ইসলাম একাধিক স্ত্রী গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে (সর্বোচ্চ ৪ জন)।

তবে শর্ত হলো: ন্যায়বিচার করতে পারা (আর্থিক, আবেগিক, আবাসন ইত্যাদি ক্ষেত্রে)।

যদি মনে হয় যে এ ন্যায়বিচার করা সম্ভব না, তবে একজন স্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে বলা হয়েছে।

২. হাদিসের দৃষ্টিতে:

সহীহ বুখারী ও মুসলিম:

 “যে ব্যক্তি দুই স্ত্রীর মধ্যে একটির প্রতি পক্ষপাত করে, সে কিয়ামতের দিনে একপাশে কাত হয়ে উঠবে।” (আবু দাউদ)

হাদিসের শিক্ষা:

একাধিক স্ত্রী থাকলে তাদের প্রতি সমান আচরণ না করলে সেটা গুরুতর গোনাহ।

পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে আখিরাতে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

৩. ফিকহ অনুযায়ী:

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি:

ইসলামিক শরিয়তে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ, তবে তা অনেক সময় পারিবারিকভাবে অশান্তি ও অন্যায়ের কারণ হতে পারে। তাই অনেক আলেম নৈতিক দিক থেকে স্ত্রীর অনুমতি নেওয়াকে উৎসাহিত করেন।

চারজন পর্যন্ত সীমা:

ইসলামে একজন পুরুষ সর্বোচ্চ চারজন স্ত্রী রাখতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের শর্ত অপরিহার্য।

৪. বাস্তবিক দিক ও উদ্দেশ্য:

ইসলাম একাধিক বিয়েকে উৎসাহিত করেনি, বরং বিশেষ সামাজিক ও মানবিক প্রেক্ষাপটে এটি বৈধ করেছে। যেমন:
  • যুদ্ধ বা দুর্যোগে নারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া
  • প্রথম স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব
  • নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
সারাংশ:
  • বিষয় ইসলাম কী বলে
  • দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ কি? হ্যাঁ, শর্তসাপেক্ষে বৈধ
  • কতজন স্ত্রী রাখা যাবে? সর্বোচ্চ ৪ জন
  • প্রথম স্ত্রীর অনুমতি লাগবে কি? বাধ্যতামূলক না, কিন্তু নৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ
  • ন্যায়বিচার করতে না পারলে? তখন একটিতেই সীমাবদ্ধ থাকার আদেশ
দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে ইসলাম কি বলে তা জানালাম আপনাদের এই হাদিস জানুন এই সম্পর্কে। 

দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে হাদিস

দ্বিতীয় বিয়ে বা একাধিক বিয়ের বিষয়ে ইসলামে সরাসরি হাদিসের মাধ্যমে কিছু দিকনির্দেশনা এসেছে, বিশেষত ন্যায়বিচার ও স্ত্রীদের প্রতি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে। নিচে কয়েকটি প্রামাণ্য হাদিস তুলে ধরা হলো:

১. পক্ষপাতমূলক আচরণ সম্পর্কে হাদিস

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

 "যে ব্যক্তি দুই স্ত্রীর মধ্যে অন্যায়ের মাধ্যমে একটির প্রতি ঝুঁকে থাকে, কিয়ামতের দিন সে এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার দেহের একাংশ হেলে থাকবে।"
 [সুনান আবু দাউদ: 2133, জামে তিরমিজি: 1141, সহীহ]

ব্যাখ্যা:

দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ হলেও, একাধিক স্ত্রীর মাঝে অন্যায় আচরণ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। পক্ষপাতের শাস্তি কিয়ামতে প্রকাশ্যে হবে।

২. স্ত্রীর প্রতি উত্তম আচরণ করার নির্দেশ

হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন:

 "তোমরা নারীদের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করো।"

— [সহীহ মুসলিম, হাদিস: ১৪৬৮]

ব্যাখ্যা:

একাধিক স্ত্রী থাকলেও সবাইকে সমানভাবে মর্যাদা ও অধিকার দিতে হবে। ইহা শুধু দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য নয়, প্রথম স্ত্রীর প্রতিও।

৩. অন্য স্ত্রীর অনুমতি চাওয়া নিয়ে হাদিস?

এ বিষয়ে সরাসরি সহীহ হাদিস নেই—যেখানে বলা হয়েছে দ্বিতীয় বিয়েতে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি আবশ্যক। তবে:

রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর জীবনে একাধিক বিবাহ করেছেন, এবং তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে ন্যায়বিচার করতেন।

কোনো হাদিসে রাসূল (সা.) প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে বিয়ের বিষয়টি আবশ্যক করেছেন—এমন বর্ণনা পাওয়া যায় না।

৪. হাদিসে রাসূল (সা.)-এর নিজের বিয়ের দৃষ্টান্ত:

রাসূল (সা.) একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করেছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কারণে:
  • বিধবা নারীদের আশ্রয় দেওয়া
  • ইসলামি দাওয়াত বিস্তারে রাজনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন
  • মুসলিম নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
এগুলো থেকে বোঝা যায়, দ্বিতীয় বিয়ে কেবল ভোগের জন্য নয়, বরং দায়িত্ব ও মানবিকতার অংশ হিসেবেও বিবেচিত।

সারসংক্ষেপে হাদিসের মূল বার্তা:

বিষয় হাদিসের দৃষ্টিভঙ্গি
  • দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ? হ্যাঁ, তবে ন্যায়বিচারের শর্তে
  • পক্ষপাত করলে? কিয়ামতে শাস্তি হবে
  • স্ত্রীর প্রতি আচরণ উত্তম ব্যবহার ও দায়িত্ব পালন জরুরি
  • প্রথম স্ত্রীর অনুমতি আবশ্যক? হাদিসে আবশ্যক বলা হয়নি, তবে নৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ
দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে হাদিস পড়লেন এখন জানুন প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে ইসলাম কি বলে। 

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে ইসলাম কি বলে

ইসলামে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াও দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ, তবে এটি কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ও নৈতিক দায়িত্বের সঙ্গে জড়িত।

১. ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি:
  • দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ — অনুমতির শর্ত নেই
  • ইসলামে পুরুষ সর্বোচ্চ চারজন স্ত্রী রাখতে পারেন (সূরা নিসা: ৪:৩), যদি ন্যায়বিচার করতে পারেন।
  • কুরআন বা সহীহ হাদিসে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি বাধ্যতামূলক — এমন কোনো নির্দেশনা নেই।
  • হানাফি, শাফেয়ী, মালিকি, হাম্বলি — চার মাযহাবেই:
  • প্রথম স্ত্রীর অনুমতি শরঈভাবে আবশ্যক নয়।
  • তবে অনেক আলেম বলেন, এটি নৈতিকভাবে ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
২. ন্যায়বিচার শর্ত — অবহেলা করলে গুনাহ

রাসূল (সা.) বলেছেন:

 "যে ব্যক্তি দুই স্ত্রীর মধ্যে অন্যায়ের মাধ্যমে একটির প্রতি পক্ষপাত করে, কিয়ামতের দিন সে এমন অবস্থায় উঠবে যে তার দেহ একপাশে হেলে থাকবে."
 (আবু দাউদ: 2133)

অর্থাৎ, অনুমতি না নেওয়া শরিয়তের দৃষ্টিতে অপরাধ নয়, কিন্তু ইনসাফ না করলে তা গুরুতর গুনাহ।

৩. কিছু দেশের আইন ভিন্ন হতে পারে:

বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া সহ অনেক মুসলিম দেশে মুসলিম পারিবারিক আইনে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রথম স্ত্রীর লিখিত অনুমতি ও আদালতের অনুমতি বাধ্যতামূলক।

এটা শরিয়ত থেকে না, বরং সামাজিক ও আইনি নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা।

৪. নৈতিক ও পারিবারিক দৃষ্টিকোণ:

প্রথম স্ত্রীর অনুভূতি, পরিবারে অশান্তি, সন্তানদের মানসিক অবস্থা — এসব বিবেচনা করাও ইসলামের নৈতিক শিক্ষা।

তাই অনুমতি না নিয়ে গোপনে বিয়ে করা অনুচিত ও সমস্যাসৃষ্টিকারী হতে পারে, যদিও তা বৈধ।

সারাংশ: প্রশ্ন উত্তর
  • প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে কি বৈধ? হ্যাঁ, শরিয়ত মতে বৈধ
  • অনুমতি বাধ্যতামূলক কি? না, তবে নৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ
  • ইনসাফ না করলে? কঠিন শাস্তির হুমকি আছে
  • আইনগত বাধা আছে কি? কিছু দেশে আছে (যেমন বাংলাদেশে)

দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি পত্র

দ্বিতীয় বিয়ের জন্য অনুমতি পত্র (বা সম্মতি পত্র) সাধারণত সেইসব দেশে ব্যবহৃত হয় যেখানে আইনি বা পারিবারিকভাবে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের আগে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি বাধ্যতামূলক, যেমন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত (মুসলিম পারিবারিক আইন) ইত্যাদি।

নীচে একটি সাধারণ ফরম্যাট দিচ্ছি, যা আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করতে পারেন:

দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি পত্র

প্রাপক:____________

নাম: [স্বামীর নাম]

জাতীয় পরিচয়পত্র নং: [স্বামীর NID নম্বর]

ঠিকানা: [পূর্ণ ঠিকানা]

বিষয়: দ্বিতীয় বিয়ের জন্য অনুমতি প্রদান

আমি, [স্ত্রীর নাম], পিতা/স্বামী: [পিতার বা বর্তমান স্বামীর নাম], জাতীয় পরিচয়পত্র নং: [NID নম্বর], বর্তমান ঠিকানা: [ঠিকানা], আপনার প্রথম স্ত্রী হিসেবে আপনাকে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য আমার সম্মতি প্রদান করছি।

আমি সম্পূর্ণ সুস্থ মস্তিষ্কে, কোনো প্রকার জবরদস্তি বা প্ররোচনা ছাড়াই এই অনুমতি প্রদান করছি।

আমি জানি, ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী একাধিক বিয়ে করার অনুমতি রয়েছে এবং রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রীর সম্মতি প্রয়োজন।

অনুমোদনকারী:

স্বাক্ষর: _____________________

নাম: [স্ত্রীর নাম]

তারিখ: [দিন/মাস/বছর]

মোবাইল নং: ____________

সাক্ষী (ঐচ্ছিক):

১. সাক্ষী নাম: ___________________

স্বাক্ষর: ______________________

২. সাক্ষী নাম: ___________________

স্বাক্ষর: ______________________

বি.দ্র.:

এই চিঠি নোটারী পাবলিক বা স্থানীয় নিকাহ রেজিস্ট্রার/কাজী অফিসে জমা দিলে অধিক গ্রহণযোগ্য হয়।

কিছু দেশে এই অনুমতি আদালতের মাধ্যমে যাচাই করে নিতে হয়। দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি পত্র দেখে নিলেন এইবার জানুন দ্বিতীয় বিয়ের শাস্তি সম্পর্কে। 

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ের শাস্তি

অবশ্যই, নিচে সবকিছু সম্পূর্ণ বাংলায় উপস্থাপন করা হলো:

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ের শাস্তি (বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী)

বাংলাদেশে মুসলমানদের জন্য বিবাহ সংক্রান্ত আইন "মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১" অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এই আইনের ৬ নং ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো মুসলিম পুরুষ তার জীবিত স্ত্রী থাকাকালীন আরেকটি বিয়ে করতে চান, তবে তাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম মানতে হবে।

যা করতে হবে:

১. প্রথম স্ত্রীর লিখিত অনুমতি নিতে হবে।

২. সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (যেমন পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি) এর কাছে আবেদন করতে হবে এবং লিখিত অনুমোদন নিতে হবে।

যদি এই নিয়ম না মানা হয়:

যদি কেউ প্রথম স্ত্রীর অনুমতি এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করেন, তাহলে এটি আইন ভঙ্গ হিসেবে গণ্য হবে এবং তার জন্য নিম্নলিখিত শাস্তি হতে পারে:

এক বছরের মধ্যে যেকোনো সময়ের কারাদণ্ড, অথবা

সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা জরিমানা, অথবা

দুইটি শাস্তিই একসাথে হতে পারে।

অতিরিক্ত তথ্য:

অনুমতি ছাড়া বিয়ে করলেও তা ধর্মীয়ভাবে (শরীয়ত অনুযায়ী) বৈধ হতে পারে, তবে বাংলাদেশের আইনে তা একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।

প্রথম স্ত্রী এই অবস্থায় ডিভোর্স বা তালাকের মামলা করতে পারেন পারিবারিক আদালতে। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ের শাস্তি দেখে নিলেন এখন জানুন দ্বিতীয় বিয়ের নিয়মকানুন। 

দ্বিতীয় বিয়ে করার নিয়ম

বাংলাদেশে মুসলিম পুরুষদের জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করার নিয়ম রয়েছে, যা "মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১" অনুযায়ী নির্ধারিত। নিচে ধাপে ধাপে নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো:

দ্বিতীয় বিয়ে করার নিয়ম (বাংলাদেশে মুসলিমদের জন্য)

১. আবেদন করতে হবে:

যে ব্যক্তি দ্বিতীয় বিয়ে করতে চান, তাকে নিজের এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (বা পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ) বরাবর লিখিত আবেদন করতে হবে।

এই আবেদনে উল্লেখ করতে হবে:
  • বর্তমান স্ত্রীর নাম ও বিবরণ
  • দ্বিতীয় বিয়ের কারণ
  • নতুন স্ত্রীর পরিচয়
২. পরিবার পরামর্শ বোর্ড গঠন:

আবেদন পাওয়ার পর চেয়ারম্যান একটি “পরিবার পরামর্শ বোর্ড” গঠন করবেন। এই বোর্ডে বর্তমান স্ত্রীসহ অন্যান্য প্রতিনিধি থাকবেন।

৩. শুনানি ও পরামর্শ:

বোর্ড আবেদনকারী, তার স্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যাচাই করবে যে দ্বিতীয় বিয়ে করা যৌক্তিক কি না।

৪. অনুমতি:

পরিবার পরামর্শ বোর্ড যদি মনে করে যে দ্বিতীয় বিয়ে যৌক্তিক কারণে করা হচ্ছে, তবে তারা লিখিত অনুমতি প্রদান করবে। এই অনুমতি পাওয়ার পরেই দ্বিতীয় বিয়ে করা আইনগতভাবে বৈধ হবে।

যদি এই নিয়ম না মানা হয়:

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ও বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে:
  • এক বছরের মধ্যে যেকোনো সময়ের কারাদণ্ড, অথবা

  • সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা জরিমানা, অথবা

  • উভয় শাস্তি একসাথে হতে পারে।
দ্বিতীয় বিয়ে করার নিয়মও জানালাম আপনাদের।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url