কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় | ঘুম কম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এবং ঘুম কম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। এছাড়াও কি খেলে রাতে ঘুম আসে না, ঘুমের ঘরোয়া চিকিৎসা, রাতে ঘুম কম হলে কি কি সমস্যা হয়, মানুষ না ঘুমিয়ে কতদিন বাঁচতে পারে, রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমালে কি ক্ষতি হয় এইসব তথ্যও পাবেন।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়। ঘুম কম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার। জানবো আমরা। janbo amra
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়। ঘুম কম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার। 
আপনাদের অনেকেরই রাত করে ঘুম আসে না কিন্তু আসল কারণ টা জানেন না। আবার অনেকেই ইচ্ছে করেই রাত জাগেন। আপনি কি জানেন রাতে ঘুম কম হলে কি কি সমস্যা হয়?

এছাড়াও আবার অনেকে রাত জাগেন এবং দিনে ঘুমান। তারাও জানেন না রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমালে কি ক্ষতি হয়। আবার অনেক সময় কোন কারণ ছারাই ঘুম কম হয়। কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এই বিষয়টা সবারই জানা উচিত আমার মনে হয়।

তাহলে চলুন আর দেরি না করে ঘুম কম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার এবং কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক। 

সূচিপত্রঃ কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় | ঘুম কম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

ভূমিকাঃ 

অধিকাংশ মানুষেরই রয়েছে পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যা। এটি মূলত ঘটে আমাদের কিছু ত্রুটিপূর্ণ রুটিন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস এর অভাবে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না কি খেলে রাতে ঘুম আসে না। আজকের এই অনুচ্ছেদে মূলত আলোচনা করা হবে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়?

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আমাদের কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এবং জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ে চিকিৎসকের মতামত। বর্তমানে প্রায় সকলের কাছে শোনা যায় পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যা সম্পর্কে। ঘুমের সমস্যার অনেকগুলো কারণ রয়েছে।

ঘুমের সমস্যার মূল কারণ হলো অকারণে ফোন চাপা এবং রাতে ক্যাফিন জাতীয় খাবার খাবার খাওয়া। যাইহোক আজকের এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয় হলো কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এবং ঘুম কম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার।

সুতরাং আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়, ঘুমের ঘরোয়া চিকিৎসা এবং সে সম্পর্কে চিকিৎসকের মতামত। এছাড়াও আপনারা জানবেন মানুষ না ঘুমিয়ে কতদিন বাঁচতে পারে এবং রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমালে কি ক্ষতি হয় এইরকম বিষয়গুলো।

রোগ প্রতিরোধের জন্য কোন অভ্যাস ভালো

সুস্থ দেহ এবং সুন্দর মন আমরা সকলেই কামনা করি। আমাদের দেহকে সবল রাখার জন্য প্রতিদিন কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার প্রয়োজন। রোগ প্রতিরোধের জন্য কোন অভ্যাস ভালো আপনি যদি সেটি জানতে চান তাহলে আজকের এই অনুচ্ছেদটি আপনার জন্য।

কারণ আজকের আলোচনা হচ্ছে রোগ প্রতিরোধের জন্য কোন অভ্যাস ভালো সে বিষয় নিয়ে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আমরা জেনে নিই কোন অভ্যাস গুলো রোগ প্রতিরোধের জন্য ভালো। এই অনুচ্ছেদটির মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই সে সম্পর্কে জানতে পারবো। রোগ প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমেই দেহকে সুস্থ রাখা প্রয়োজন।

রোগ প্রতিরোধের জন্য কোন অভ্যাস গুলো ভালো তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ

  • অভ্যাস করতে হবে প্রতিদিন সূর্যোদয়ের পূর্বে ঘুম থেকে জাগার।
  • রেগুলার সকালে যোগব্যায়াম করতে হবে।
  • প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সুষম খাদ্য যোগ করবেন।
  • সর্বদা পজিটিভ থিঙ্কিং করার অভ্যাস করতে হবে।
  • টেনশন হয় এরকম কাজ অথবা মানসিকভাবে হতাশ গ্রস্থ হয়ে পড়ে এসব কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবেন।
  • নিজেকে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার অথবা এর বেশি পানি পান করার অভ্যাস করতে হবে।
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটাহাঁটি করতে হবে।
  • প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে অন্তত এক থেকে দুই ঘন্টা।
  • কোন কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে রাখা যাবে না। আগামীকাল কোন কাজ করব সে সম্পর্কে আজ রাতে তালিকা বানিয়ে রাখতে হব।
  • রক্তচাপ বেড়ে যায় এইরকম অভ্যাস বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি যেসব খাবার খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায় সে খাবারগুলো বর্জন করতে হবে।
  • প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
  • অতিরিক্ত রাত জাগা যাবেনা রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন।
  • নেশা এবং মাদকদ্রব্য থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়

বর্তমান সময় সকলের কাছে একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ঘুমের সমস্যা।এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতিদিন ১০০ জন মানুষের মধ্যে ৭০ জন মানুষের ঘুমের সমস্যা রয়েছে। ঘুমের সমস্যার কারণে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে। এই তথ্যটি জেনে রাখা ভালো যে যখন আমরা রাতে ঘুমাই তখন আমাদের দেহ থেকে নানা ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়,এর ফলে আমাদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। কোন কারনে যদি ঘুমের সমস্যা হয় তাহলে হরমোন নিঃসৃত হাওয়ায় বাধা প্রাপ্ত হয়। এর ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন কমতে থাকে।

ঘুম আমাদের মানব দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি মানুষের পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। যদি পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব দেখা দেয় তাহলে শরীরে নানা রকমের রোগ বাসা বাঁধে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। যাইহোক আজকের মূল আলোচনার বিষয় হচ্ছে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুমের ঘাটতি হয়।

অনেক চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ভিটামিন ডি এর অভাবে ঘুমের সমস্যা হয়। কারণ আমাদের মানবদেহে ঘুমের জন্য মেলা টনিক হরমোনটি প্রয়োজন আর এই হরমোনটি নিঃসরণ করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। যখন মানবদেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিবে তখন ঘুমের সমস্যা হয়। তাই আমাদের চিকিৎসকদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া উচিত কোন কোন খাবারে ভিটামিন ডি মজুদ থাকে।

কি খেলে রাতে ঘুম আসে না

আমাদের ঘুমের সমস্যার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। শুধুমাত্র ভিটামিনের অভাবে রাতে ঘুম আসে না বিষয়টি এমন না। আমাদের প্রতিদিনের ত্রুটিপূর্ণ রুটিনের কারণে ও ঘুমের সমস্যা হতে পার। সেজন্য আমাদের একটি সুষম রুটিন মেনে চলা উচিত। যাইহোক এখন আলোচনা করব কি খেলে রাতে ঘুম আসে না। যেসব খাবার খেলে রাতে ঘুম আসে না তা নিয়ে এই আলোচনা। আপনি যদি জানতে চান রাতে কি খেলে ঘুম আসে না তাহলে এই অনুচ্ছেদটি আপনার জন্য।

রাতে ঘুমের আগে ক্যাফিন জাতীয় খাবার যেমন সিগারেট,চা,কফি,এসব খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। এগুলো ক্যাফিন জাতীয় খাবার ক্যাফিন জাতীয় খাবার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। আমাদের খাদ্য তালিকায় যেসব খাবার খেলে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে সেগুলো যুক্ত করতে হবে। মূলত রাতে ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে পাশাপাশি শরীরকে শীতল করে। ফলে রাতে অতি দ্রুত ঘুম আসে।

ঘুমের ঘরোয়া চিকিৎসা

চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের পাশাপাশি ঘুমের বেশ কিছু ঘরোয়া চিকিৎসাও রয়েছে। যে সকল ব্যক্তিরা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন এই অনুচ্ছেদটি তাদের জন্য। এই অনুচ্ছেদে থাকছে ঘুমের ঘরোয়া চিকিৎসার বিস্তারিত আলোচনা। প্রতিটি মানুষের ঘুমের সমস্যার পেছনে রয়েছে খাদ্যা অভ্যাসের ত্রুটি। আপনি যদি ঘুমের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই অনুচ্ছেদটি ফলো করুন।

মূলত প্রতিদিন খাবারে ত্রুটির কারণে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। যেসব খাবার খেয়ে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয় সেসব খাবার অতি শীঘ্রই বর্জন করা উচিত। ক্যাফিন জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করে ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে চা, কফি, সিগারেট খাওয়া যাবে না।এইসব খাবার আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় । রাতে দ্রুত ঘুমানোর জন্য ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার যেমন দুধ, কাঠ বাদাম ইত্যাদি খাবার খেতে হবে। এইসব খাবার গ্রহণের ফলে রাতে দ্রুত ঘুম আসবে। ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম আসতে সাহায্য করে।

ঘুম কম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য ঘুম মানব দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে মানুষ অসুস্থ বোধ করে। আজকের এই অনুচ্ছেদটি ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্ক। এই অনুচ্ছেদটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ঘুম নিয়ে নানা রকমের তথ্য।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে আমরা শরীরে শক্তি পায় না এবং কাজকর্ম করতে পারি না। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের অভাবে শরীরে অস্বস্তি বোধ হয় এবং অসুস্থ লাগে। ঘুম কম হলে শারীরিকভাবে নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের অভ্যাস করতে হবে এবং ঘুম কম হলে কি করতে হবে এ সকল বিষয় নিয়ে আজকের লেখা।

মানব শরীরের জন্য ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। রাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে সারাদিন শরীর দুর্বল লাগে এবং ঘুম ঘুম লাগে। সারাদিন কোন কাজেই মনোযোগ আসে ন। দিনের পর দিন যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে শরীরের পাশাপাশি মানসিক ভাবেও মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের অভাবে মানুষকে অসুস্থতায় ভুগতে হয়।

সম্প্রীতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৬ ঘন্টার কম ঘুমালে বাবা বারবার ঘুমের মধ্যে জেগে যাওয়ার কারণে ধমনীতে এক চর্বি জাতীয় প্রাচীর তৈরির আশঙ্কা থাকে। রাত হলে সঠিক সময় বিছানায় যান কিন্তু ঘুম আসে না এজন্য অনেকেই চিকিৎসকের মতামত নিয়ে ঘুমের ওষুধ খাওয়া শুরু করেন। ঘুমের ওষুধের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়া শরীরের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। ঘুমের ওষুধ আমাদের শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

ঘুম মূলত আমাদের শরীরের হয় পূরণ ও শক্তি সঞ্চারের একটি পন্থ।ঘুম কম হাওয়ায় শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধে। এর পাশাপাশি অকালে বৃদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।যেহেতু ঠিক মতো ঘুম না হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে সেহেতু আমাদের নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। আমাদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।

রাতে ঘুম কম হলে কি কি সমস্যা হয়

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।আমরা সারাদিন নানা ধরনের কাজে ব্যস্ত থাকি।এতে আমাদের শরীরের উপরে চাপ পড়ে।এজন্য রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন। আমরা এই অনুচ্ছেদটির মাধ্যমে জানতে পারবো ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হতে পারে। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক কম ঘুমের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কেঃ

  • ওজন বেড়ে যায়
  • ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়
  • উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়
  • কোলেস্টেরলের সমস্যা হয়
  • মাংসপেশীতে খিচ ধরে। এতে সারাদিনের কাজকর্মের পর মাংসপেশি খুব শক্ত হয়ে যায়। 
  • কাজকর্মে বিভ্রান্তি ঘটে
  • মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভাবে মানুষের মেজাজ ঠিক থাকে না।
  • শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। যেমন: চোখে নিচে কালো দাগ ,চোখ গর্তে চলে যায়।
  • চুল পড়ে যায়।
  • রাতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলে উপরে বর্ণিত সমস্যা গুলোর মত আরো বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

রাতে ঘুম না আসা রোগের নাম কি 

ঘুম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পন্থা। পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। যেহেতু ঘুম আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে কেউতো যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়।রাতে ঘুম না আসা বা ঘুম আসার পরেও বারবার ভেঙে যাওয়াকে বলা হয় ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা রোগ। ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার কারণে কাজে ঠিকমত মনোযোগ দিতে না পারা, সারাদিন ঝিমুনি,ঘুম ঘুম ভাব,মেজাজ খিটখিটে ও বিষন্নতার মতো ঘটনা ঘটে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা রোগ হতে পারে। 

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভাবে শরীরের নানা রকম রোগের সৃষ্টি হয়। যেমন : ডায়বেটিস,উচ্চ রক্তচাপ, মেজাজ খিটখিটে ইত্যাদি। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভাবে আয়ু কমে আসে। স্মৃতিশক্তি  নষ্ট হয়ে যায়। যেহেতু ঘুম আমাদের মানব দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় যেহেতু আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে ।আমরা অনেকেই অনেক রাত পর্যন্ত মোবাইল চালায় অথবা টিভি দেখি এতে আমাদের ঘুমের সমস্যার পাশাপাশি চোখেরও সমস্যা হয়।  এ কারণে আমরা চেষ্টা করব রাত জাগে মোবাইল অথবা টিভি দেখা থেকে বিরত থাকতে। 


রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমালে কি ক্ষতি হয়


একজন মানুষ না ঘুমিয়ে কতদিন বাঁচতে পারে

একজন মানুষের কমপক্ষে দৈনিক ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।ঘুমের সময় আমাদের শরীর পূর্ণভাবে বিশ্রাম নিতে পারে।যারা এই সময়ের চেয়ে কম ঘুমান তারা ভোগেন বিভিন্ন সমস্যায়।পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমের অভাব হলে মানসিক রোগ দেখা দেয়। 

আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাদ্য ও জল অপরিহার্য ঠিক তেমনি পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের ও প্রয়োজন রয়েছে। দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে পারলে শরীরে ইতিবাচক, ধৈর্যশীল এবং আরাম অনুভব হয়। কিন্তু আপনারা কি জানেন একজন মানুষ কতক্ষণ না ঘুমিয়ে বাঁচতে পারে? চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ

একজন মানুষ যেমন টানা অনেকদিন না খেলে মরে যায় ঠিক তেমনি টানা বেশ কিছুদিন না ঘুমালে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। জেনে রাখা ভালো টানা ১১ দিন না ঘুমালে একজন মানুষের মৃত্যু অনিবার্য। হ্যাঁ অবশ্যই একজন মানুষ যদি ১১ দিন না ঘুমিয়ে থাকে তাহলে তার মৃত্যু অনিবার্।  এক গবেষণায় দেখা গেছে একজন মানুষ তার জীবনের এক তৃতীয়াংশ ঘুমিয়ে কাটায়। একজন মানুষ যদি প্রতিদিন ৭ ঘন্টা ঘুমায় তাহলে তার ঠান্ডা লাগার পরিমাণ বেশি থাকে। তাছাড়া ঘুমের সময় কোন রকম ঘ্রান শক্তি কাজ করে না। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url