সেফিক্সিম কিসের ওষুধ ও খাওয়ার নিয়ম জানুন

সেফিক্সিম কিসের ওষুধ ও খাওয়ার নিয়ম, কাজ এবং দাম সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো। 
সেফিক্সিম কিসের ওষুধ। জানবো আমরা। janbo amra
সেফিক্সিম কিসের ওষুধ

সূচিপত্রঃ সেফিক্সিম কিসের ওষুধ ও খাওয়ার নিয়ম জানুন

সেফিক্সিম কিসের ওষুধ

সেফিক্সিম একটি মূল্যবান এন্টিবায়োটিক ঔষধ যা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের চিকিৎসায় ভূমিকা পালন করে। এই ওষুধটি এন্টিবায়োটিক যা সাধারণত কান,মূত্রনালী, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহারিত হয়ে থাকে এই ওষুধটি। 

সেফিক্সিম ওষুধটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরী ওষুধের তালিকা স্থান পেয়েছে। এই ওষুধটি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের রোগ গুলোকে ভালো করতে কাজ করে থাকে। 

সংক্রমণ ফুসফুসের বায়ু টিউবগুলির, gonorrhea একটি যৌন সংক্রমনিত রোগ এবং কান, গলার, টনসিল ইত্যাদি সংক্রমণ ওষুধ কাজ করে থাকে। সেফিক্সিম ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রান্ত রোগের জন্য এই ওষুধ খেতে হয়। তাই বলা যায় এই রোগগুলোর জন্যই সেফিক্সিম ওষুধ।

সেফিক্সিম ৪০০ এর কাজ কি

সেফিক্সিম ৪০০ সংক্রমণের জন্য ব্যবহার করা হয়। ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের জন্য সেফিক্সিম৪০০কাজ করে থাকে। এই ওষুধ ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি এবং এটি হত্যা করে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। 

এই ওষুধটি ফুসফুসের বায়ু টিউবগুলির সংক্রমণ গুলোকে ভালো করতে কাজ করে থাকে। আবার যৌন সংক্রমণিত রোগ গুলো কেউ ভালো করে কাজ করে থাকে এই ওষুধটি। কান গলা টনসিল ইত্যাদি সংক্রমনের জন্য ও সেফিক্সিম ৪০০ কাজ করে থাকে। 

সেফিক্সিম একটি তৃতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন জাতীয় এবং মুখে সেবনযোগ্য সেমিসিনথেটিক অ্যান্টিবায়োটিক। এই ওষুধটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর গঠনে বাধা প্রদান করে ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে কাজ করে থাকে। সেফিক্সিম ৪০০খাদ্য ছাড়া যে কোন ভাবে সেবন করলে এটি প্রায় ৪০-৫০% কাজ করে থাকে।

সেফিক্সিম খাওয়ার নিয়ম

আপনাকে ডাক্তার যে নিয়ম অনুসারে সেফিক্সিম খেতে বলেছে, আপনি সবসময় সেই নিয়ম অনুসারেই সেফিক্সিমওষুধটি খেয়ে থাকবেন। 

সাধারণত এই ওষুধটি খাবারের সাথে বা ছাড়া মৌখিকভাবে নেওয়া হয়ে থাকে। আপনি সবসময় আপনার চিকিৎসকের নিয়ম অনুসরণ করুন এবং প্রেসক্রিপশনে যে নিয়ম গুলো দেওয়া আছে সেই নিয়ম অনুসারে সেফিক্সিম ওষুধটি খাবেন।

সেফিক্সিম ৪০০ খাওয়ার নিয়ম

এই ওষুধ খাওয়ার নিয়ম হলো

১২ বছর পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত দিনে ৮ মিলিগ্রাম /কেজি একক সেবন মাত্রায় অথবা দুইবার বিভক্ত মাত্রায় শিশির বয়স অনুসারে নিয়ম মেনে খাওয়াতে হবে।

১/২ থেকে এক বছর ৩.৭৫ মিলিগ্রাম অথবা 75 মিলিগ্রাম নিয়ম অনুসারে সেবন করাতে হবে।

১-৪ বছরের মধ্যে বয়স যাদের তাদের ক্ষেত্রে ৫ মিলিগ্রাম অথবা ১০০ মিলিগ্রাম করে খাওয়াতে হবে।

৫-১০ বছরের মধ্যে ১০ মিলিগ্রাম অথবা ২০০ মিলিগ্রাম ওষুধ নিয়ম অনুসারে খাওয়াতে হবে।।

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ওষুধের সেবন মাত্রা প্রতিদিন ২০০-৪০০ মিলিগ্রাম ১ থেকে ২ টি ক্যাপসুল একত্রে অথবা দুইবার বিভক্ত মাত্রায় ৭-১৪ দিন পর্যন্ত সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে এই ওষুধ নিয়ম অনুসারে আপনাকে সেবন করতে হবে। 

যদি দেখা যায় সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে গেছে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে যদি ৪০০-৮০০মিলি গ্রামের ও ওষুধের সেগুন মাত্রা দিতে পারে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে আপনি এই ওষুধ সেবন করবেন।

১২ বছরের উপরে তাদের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের সেবন মাত্রার মতোই চিকিৎসকের পরামর্শ মত নিয়ম অনুসারে এ ওষুধ সেবন করবেন।

সেফিক্সিম ৪০০ এর দাম কত

সেফিক্সিম ৪০০ ক্যাপসুলটি ৪০০ মিলিগ্রাম ইবনে সিনা ফার্মিসিটিকাল লিমিটেডের

unit price :55.00 tk

Strip price :550.00 tk

এই ওষুধটি মুখে সেবনযোগ্য সেমিসিনথেটিক এন্টিবায়োটিক ঔষধ। খাদ্য ছাড়া যে কোন ভাবে এই ওষুধটি সেবন করলে খুব দ্রুত কাজ করে থাকে। সকল সংক্রমণিত জীবাণুর ক্ষেত্রেই সেফিক্সিম৪০০ কাজ করে।

জীবাণুর বিরুদ্ধে সেফিক্সিম ৪০০ খুব দ্রুত কাজ করে রোগ নিরাময় করে থাকে। তাই এই ওষুধটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডাক্তার যদি আপনাকে প্রেসক্রিপশন করে তাহলে আপনি আপনার যেকোনো ফার্মেসিটিতে গেলেই এই ওষুধটি পেয়ে যাবেন।

সেফিক্সিম ওরাল সাসপেনশন এর কাজ

অজটিল মূত্রনালীর সংক্রমণের ক্ষেত্রে সেফিক্সিম ওরাল সাসপেনশন কাজ করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে সংক্রমণে সেফিক্সিম ওরাল সাসপেনশন ওষুধ ব্যবহারে দিয়ে কাজ করে থাকে। এই ওষুধটিকে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। 

সাসপেনশনের জন্য ওষুধটি প্রতিটি ডোজের আগে ওষুধটিকে ভালোভাবে ঝাকায় নিতে হবে। কিন্তু যদি তরল ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে ঝাঁকানোর প্রয়োজন নেই। তারপর নিয়ম অনুসারে আপনি তরল ওষুধটি দৃষ্টি পরিমাপ ভালোভাবে নির্ণয় করে নিন তারপর ওষুধ টি সেবন করতে হবে। 

সেফিক্সিমো ওরাল সাসপেনশন তরল ওষুধটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করতে কাজ করে থাকে। এই ওষুধটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দ্রুত সরাতে কাজ করে থাকে।

সেফিক্সিম সিরাপ ফর চাইল্ড

শিশুদের জ্বর ঠান্ডা কাশি এবং নিউমেনিয়া ভালো করার জন্য সেফিক্সিম সিরাপ কাজ করে থাকে। মূল্যতো বাচ্চাদের জন্যই সেফিক্সিম সিরাপটি দেওয়া হয়ে থাকে। 

যে সকল বাচ্চাদের উচ্চ ও নিম্ন মধ্যের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, অতিরিক্ত জ্বর, ঠান্ডা জনিত সংক্রমণ ইত্যাদি এই রোগ গুলো বাচ্চাদের ভালো করতে সেফিক্সিম সিরাপ কাজ করে থাকে।এই ওষুধটি শিশুদের ক্ষেত্রে খাওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিন এক চামচ করে দুই বেলা সকালে এবং রাতে খাওয়া যেতে পারে।

তবে রোগীর তারতম্যের উপর ভিত্তি করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধটি খাওয়ানো উচিত। ডাক্তারের নিয়ম অনুযায়ী এর ডোজ বাড়ানো এবং কমানো যেতে পারে। এইজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শিশুদেরকে এই ওষুধ সেবন করাবেন।

সেফিক্সিম কতদিন খেতে হয়

এই ওষুধটি সাধারণত ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা পর পর খেতে হয়। এই ওষুধটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডাক্তার প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় করে দেয় সেই সময় অনুযায়ী প্রতিদিন একই সময়ে এই ওষুধটি সেবন করতে হবে। 

যদি দেখেন আপনার কোন কারনে একটি ডোজ মিস গেছে তাহলে ঐদিন আর খাবেন না কোনভাবেই আবার ডাক্তার যেভাবে বলেছে সেই সময় খাবেন তাহলে এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা কোন ক্ষতি হবে না। 

এজন্য বলা যায় ডাক্তার যেভাবে যতদিন এই ওষুধটি খেতে বলবেন ততদিন এই ওষুধটি খেতে হবে অর্থাৎ আপনার শরীরের সংক্রমণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধ আপনাকে যতদিনের জন্য ডাক্তার সেবন করতে বলেছেন ততদিন পর্যন্ত সেভাবেই আপনাকে সেবন করতে হবে।

সেফিক্সিম এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সেফিক্সিম ঔষধটি হলো সুসহনীয়। এই ওষুধের সাধারণত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে যেগুলো পড়ে সেগুলো হলো ডায়রিয়া এবং মলের ধরন পরিবর্তন হতে পারে, এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া টা দেখা দিতে পারে যদি আপনি উচ্চমাত্রার ওষুধ সেবন করে থাকেন তাহলে। 

যদি দেখেন ডায়রিয়া শুরু হয়েছে সেক্ষেত্রে আপনি ওষুধটি বন্ধ দিবেন। আরো কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে সেগুলো হল কম মাত্রার হয়ে থাকে সেগুলোর নাম হল বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, বদহজম, বমি, পেট ফাঁপা, মাথাব্যথা, এবং মাথা ও ঝিমঝিম করতে পারে। 

আবার অনেক সময় দেখা যায় যে ব্যাস জাতীয় এলার্জি, চুলকানি, আমবাত,জ্বর এবং সন্ধি ব্যথা পরলোক্ষিত হয়। 

এই প্রতিক্রিয়া গুলো খুব কম সময়ের জন্যই দেখা দেয় যদিও দেখা দেয় আপনি যদি ওষুধ খাওয়াটি বন্ধ দেন তাহলে সেটি ভালো হয়ে যায়। তাই বলা যাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম করে আপনি এই ওষুধটি সেবন করবেন তাহলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url